টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে

52

সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসা’র কনফারেন্স হলে গত ১৪ মে মঙ্গলবার এসডিজি (৬) নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অগ্রগতি, সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও গবেষক এস.এম আরাফাত। অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সহ-সভাপতি ফরিদ আলম ও চট্টগ্রাম ওয়াসা’র সচিব ড. পিযূষ দত্ত। প্যানেল আলোচক ছিলেন-চট্টগ্রাম ওয়াসা’র এমডি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম’র সিভিল সার্জন ডা: আজিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, কারিতাস, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ, উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ ড. সানাউল্লাহ, ফুলকলি’র জিএম এমএ সবুর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক শিমুল কান্তি মহাজন প্রমুখ।
এসডিজি (৬)’র আলোচনায় অন্যতম বিষয় ছিল চট্টগ্রাম’র স্যানিটেশন সিস্টেম। মূল প্রবন্ধকার এসএম আরাফাত বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা’র চেষ্টার ইতিহাস বহু পুরনো। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামের প্রথম স্যানিটেশন মাস্টার প্লান তৈরি হয়। কিন্তু তা অর্থ সংকটের কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে স্যানিটেশন মাস্টার প্লান তৈরি করা হলেও অদৃশ্য কারণে আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের স্যানিটেশন মাস্টার প্লান তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সালে সেই প্লান অনুমোদন পায়। এই প্লান ৬টি ধাপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথম ধাপের জন্য ৩০৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এখন প্রথম ধাপের প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান।
চট্টগ্রাম ওয়াসা’র এমডি একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, পুরনো পাইপ লাইন যাদের বয়স ২০/৩০ বছর সেই পাইপ লাইনগুলোর কারণে আমাদের সক্ষমতা সত্তে¡ও পানি উচ্চ চাপে সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ৬০ পিএসআই’র বেশি চাপ দেওয়া হলে অনেক পাইপ লাইন ফেটে যায়। অথচ ওয়াসা একশত পিএসআই’র ব্যবহারের সক্ষমতা রাখে। তিনি আরো বলেন, জনসচেতনতা ছাড়া পরিষ্কার পানি সরবরাহ সম্ভব নয়। কারণ আমরা যদি আমাদের পানির ট্যাংকি নিয়মিত পরিষ্কার না করি তাহলে সেই পানি দূষিত হয়ে যায়। রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান বলেন, সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গিকারবদ্ধ। অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, হালদা ও কর্ণফুলী নদী যদি কোন কারণে দূষিত হয়ে পড়ে, ওয়াসার কোন বিকল্প পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। তাই আমাদের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। চট্টগ্রাম’র সিভিল সার্জন ডা: আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, জনস্বাস্থ্যর ব্যাপারে আমাদের নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। যে সকল পাত্রে আমরা পানি সংগ্রহ করি সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। বিজ্ঞপ্তি