টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

17

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. নাসির (৩০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এসময় ৩টি দেশিয় তৈরি এলজি, ১২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৬ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শনিবার গভীর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার দইল্যা খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. নাসির উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়া এলাকার জালাল আহম্মদের ছেলে। সে চিহ্নিত একজন মাদক কারবারি বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তারা হলেন, এএস আই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল আব্দু শুক্কুর ও মো. হেলাল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শনিবার রাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করার গোপন সংবাদে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউপিস্থ গালস্ স্কুলের সামনে থেকে মো. নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ইয়াবার চালান উদ্ধারে হোয়াইক্যং ইউপিস্থ পূর্ব সাত ঘড়িয়াপাড়া জৈনক রৌশন আলী মেম্বার এর বসতবাড়ির পূর্ব পাশের দইল্যা খালের পাড়ে ইয়াবা, অস্ত্র মজুদ এবং সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অবস্থানের খবরে আমার নেতৃত্বে অভিযানে গেলে ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ গুলিবিনিময়ের পর ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শুভ দেব বলেন, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে আসেন। তার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। এসময় আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের মে মাসে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ২১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।