টেকনাফে দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা

29

ইয়াবা কারবারে অবৈধ সম্পদ অর্জনে টেকনাফের দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইয়াবা ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ এবং হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হুদা। ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রূয়ারি তারা দুজনই আত্মসমর্পণ করেছিলেন পুলিশের কাছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, অনুসন্ধানকালে এই দুই জনপ্রতিনিধির অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে তদন্তের স্বার্থে ওইসবগুলো শীঘ্রই জব্দ করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নুরুল বশর ও নুরুল হুদার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর। অনুসন্ধানকালে টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল বশরের বিরুদ্ধে ৮৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩২ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। অপরদিকে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বার ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। একই সাথে তারা দুজনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেনি। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক-এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়ায় টেকনাফে পৌরসভার কাউন্সিলর নুরুল বশর ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সাথে আমাকে এ মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।