টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠছে না উত্তর রোসাংগিরীতে

76

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নে চলতি সেচ মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশংকাজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত টিউবওয়েলগুলোতে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। এতে কয়েক হাজার পরিবারে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেচ ও খরা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে বেশিরভাগ এলাকার হস্তচালিত টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পরে। আজিমনগর গ্রামের চা দোকানদার মো. লোকমান হোসেন বলেন, এখানকার ৯০ ভাগ হস্তচালিত নলকূলে পানি উঠছে না। বাকি নলকূপগুলোতে অল্প অল্প পানি উঠার ফলে নিত্য ব্যবহারের জন্য পানি না পেয়ে বিভিন্নভাবে রোগাক্রান্ত হচ্ছেন এখানকার জনগণ। দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, এলাকার কয়েকটি নলকূপ থেকে খাবার পানি সরবরাহের জন্য ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন স¤প্রসারণ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে পানির স্তর নিন্মমুখী হওয়ার কারণে বোর সেচের পাম্পগুলোতে ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। দৌলতপুর গ্রামের গৃহিনী শায়লা আকতার (২৮) বলেন, হস্তচালিত টিউবওয়েলগুলোতে পানি না পাওয়ায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক মাইল দুরে গিয়ে বর্তমানে পানি পাওয়া গেলেও পুরোপুরি খরা শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কি-না এনিয়ে তিনি সন্ধিহান। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি হস্তচালিত টিউবওয়েলের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আগের কয়েকটি খরা মৌসুমেও কিছু টিউবওয়েলে পানি ওঠেনি।
ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বলেন, সেচ প্রকল্পে বর্তমানে ফটিকছড়িতে দুই কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন গভীর নলকূপ চালু আছে। যদি এক কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন গভীর নলকূপ স্থাপন করা যেত তাতে বিদ্যুৎ বিল কম হতো এবং গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অবাধে খাওয়ার পানির সরবরাহ পেত। ফটিকছড়ি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রণবেশ মহাজন বলেন, বোরো মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এতে এ সময়টায় খাওয়ার পানির সংকট কিছুটা দেখা দেয়।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, উপজেলার সকল এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।