টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক

54

গত ৫ দিনে থেমে থেমে বৃষ্টির পাশাপাশি বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টিপাত হয় উখিয়ায়। এতে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং থেকে পালংখালী পর্যন্ত অংশে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ভুক্তভোগীরা অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণকে দায়ী করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুতুপালং বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু করে বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী পশ্চিম স্টেশন এবং পালংখালী বাজারটি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভাসছে। এসময় থাইংখালী এলাকার নোমান খান নামের একজন জানালেন, থাইংখালী এলাকার এক প্রভাবশালী বাজারের নালা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করার কারণে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে বাজারের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই কথা বালুখালী পানবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিমের। পালংখালী স্টেশনের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, বাজারে যে খালটি রয়েছে এটি ভরাট করে কিছু অসাধু ব্যক্তি দোকানপাট নির্মাণ করেছে। যার ফলে আজকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কলিম উল্লাহ নামের কক্সবাজারগামী নাফ স্পেশালে সার্ভিসের এক যাত্রী জানান, ৭টার দিকে পালংখালী স্টেশনে পৌছি, কিন্তু সড়কের উপর দিয়ে পানি চলাচলের কারণে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে ঝুঁকি নিয়ে গাড়িচালক কোন রকম উখিয়া পর্যন্ত নিয়ে আসলেও কক্সবাজার পৌছতে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাগতে পারে। এভাবে দুর্ভোগের কথা জানালেন আরো অসংখ্য যাত্রী।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা আসার পর থেকে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি প্রভাব বিস্তার করে নিজের ইচ্ছেমতো খাল, নালা, নর্দমা দখল করে অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বেশি কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জান চৌধুরী জানান, মানুষের অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় পানি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।