টানা বর্ষণে ফটিকছড়িতে আউশ ধান ও বীজতলা ডুবে গেছে

41

গণ ৩ দিনের অব্যাহত ভারী বৃষ্টি পাতের কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ১০/১৫ টি গ্রামে কৃষকের প্রায় ১ শত হেক্টর আউশ ধান ও বীজ তলা ডুবে গেছে। সে সাথে হালদা ও ধুরং নদীর ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ তলিয়ে যাবার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার লিটন দেব নাথ বলেন,অব্যাহত বর্ষণে উপজেলার বাগান বাজার, দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভূজপুর, লেলাং, নানুপুর, রোসাংগিরী, খিরাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের ৫০ হেক্টর আমন ধান ও ৪০ হেক্টর বীজ তলা পানিতে ডুবে রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার হালদা ও ধুরং নদী, লেলাং খাল, র্সুা খাল, গজারিয়া খাল, মন্দাকিনী খাল ও বার মাসিয়া খালে পানি প্রতি নিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণ কয়েক বছর ধরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী ও খালের বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় নদী ও খালের পানি প্রবেশ করে আবারো বন্যা হতে পারে। গণকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বণিক পাড়ার রতন বণিক জানান, উক্ত ওয়ার্ডের কুমার পাড়া ও বণিক পাড়ার সামনে কয়েক শত ফুট পূর্বের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ গাছের খুঁটি দিয়ে বালির বস্তা দিয়ে রক্ষার জন্য কাজ করলেও গণকাল তা ধুরং নদীতে তলিয়ে বাঁধ একেবারে সরু হয়ে যাবার কারণে স্থানীয় মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ১ /২ ফুট নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। স্থানীয়রা তাদের জীবন বাঁচাতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিন বন্যার আশঙ্কায় উপজেলার ২ টি পৌরসভা মেয়র ও ১৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে স্ব স্ব ইউনিয়নে অবস্থান করে খোঁজ খবর নিতে চিঠি প্রেরণ করেছে।