টাইগার যুবাদের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড

36

ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশি যুবারা। অপেক্ষা ছিল ইংলিশদের ধবলধোলাই করার। শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় তুলে ইংলিশ যুবাদের ধবলধোলাই করলো টাইগার যুবারা। কক্সবাজারে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৩ ওভারে ২০৩ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় ইংলিশ যুবারা।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৬৯ রানেই ৩টি উইকেট হারায় টাইগাররা। রানজিদ হাসান ২৩, পারভেজ হাসান জয় ১৩ ও তৌহিদ হৃদয় ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান ইমন ও শামিম হোসেন। দুজন মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। তবে সেই উইকেট ভেঙে দেন ফিঞ্চ। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর দলীয় ১৮৯ রানে শামিমকে ফেরান মর্লে। ফেরার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন তিনি। আর ১ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক আকবর আলী ফেরেন ব্যক্তিগত ১০ রানে। এরপর রাকিবুল হাসান ৩, ও রিশাদ হাসান আউট হন ২২ রান করে। তবে শেষদিকে রুহেল আহমেদ ও আসাদুল্লাহ গালিব খালি হাতে ফিরলেও একদিক থেকে অপরাজিত থেকে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন শাহাদাত হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জর্জ হিল। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন অ্যাডাম ফিঞ্চ ও জ্যাক মর্লে। আর একটি নেন জর্জ বল্ডারসেন। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার জরদান কক্স এবং অধিনায়ক জেমি স্মিথ শূন্য হাতে ফেরেন। তবে আরেক ওপেনার বেন চার্লসওর্থ একদিক থেকে দলের হাল ধরে রাখেন। আর লিউইস গোল্ডওর্থি ২১, বাল্ডারসন ১১, হলম্যান করেন ৩০ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তবে দলের হাল ধরে রাখার চেষ্টা করে সেঞ্চুরি তুলে নেন বেন চার্লসওর্থ। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানেতাকে ফেরান গালিব। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আহসানুল্লাহ গালিব। এছাড়াও দুটি করে উইকেট পান রুহেল আহমেদ, শামিম হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচসেরার পুরস্কার আসে বাংলাদেশ দলের শামিম হোসেনের হাতে। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার পান ইংলিশদের হয়ে এই ম্যাচে সেঞ্চুরি তোলা বেন চার্লসওর্থ।