টাইগারদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার

48

প্রথমবারের মতো এবারই তিনটি সংস্করণেই সিরিজ জেতার সুযোগ ছিলো বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যথতায় পারল না সাকিব আল হাসানের দল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দারুণ শুরুর পরও মিডিলআর্ডারের ব্যর্থতায় ৫০ রানে হেরে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। এর আগে এভিন লুইসের টর্নেডো ইনিংসে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইশ রানের নিচে থামিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন বোলাররা। লিটন দাসের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু কিমো পলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে পথ হারানো বাংলাদেশ পেরে ওঠেনি শেষ পর্যরু। ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে তারা ১৭ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৪০ রানে।
দ্বিতীয় ওভারে তাড়াহুড়ো করে তৃতীয় রান নেওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। রান আউট হয়ে বিদায় নেন ৮ রানে। লিটন দাস এরপরেও বারুদে ব্যাটিং থেকে পিছপা হননি। তার ধুমধারাক্কা ব্যাটিংয়ে ৩.৫ ওভারেই ৫৩ রান আসে স্বাগতিকদের। বিপরীতে ক্যারিবীয় বোলারদের এক্সট্রা রান দেওয়ার তাড়ায় রানও আসতে থাকে দ্রুত।
এমন অবস্থায় চতুর্থ ওভারে ওশানে থমাসের এক নো নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অন ফিল্ড আম্পায়ার নো দিলেও টিভিতে দেখা যায় তা নো হয়নি। এ নিয়ে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটকে বিক্ষুব্ধ দেখা যায়। তবে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর মধ্যস্থতায় ফের খেলা গড়ায় মাঠে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছিলো উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিশনে।
পঞ্চম ওভারে ফাবিয়ান অ্যালেন মাঠে নামলে আঘাত হানেন লিটন-সৌম্য জুটিতে। সৌম্য মেরে খেলতে গিয়ে জমা পড়েন কট্রেলের হাতে। পরের বলে নতুন নামা সাকিবকেও কট্রেলের ক্যাচ বানান অ্যালেন। তাতে দারুণ শুরুর পর অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে কিমো পল বোলিংয়ে আসলে তুলে নেন মুশফিকুর রহিমকে। তার বিদায়ে বরং বিপদই বাড়ে। রিয়াদ নেমে কিছু শট খেললেও উঠিয়ে মারার ফল ভোগেন কিমো পলের ওভারে। অষ্টম ওভারে মিড অফে তার ক্যাচ লুফে নেন ব্র্যাথওয়েট।
যদিও অপর প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন লিটন। নবম ওভারে আবারও ভাগ্যের ছোঁয়া পান লিটন। অ্যালেনের বলে লেগ বিফোরের আবেদনে অনফিল্ড আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউতে দেখা যায় বল মিস করেছে স্টাম্প! তবে পরের ওভারে আর রক্ষে হয়নি লিটনের। মিড অফে ক্যাচ উঠে যায় লিটনের। ২৫ বলে ৪৩ রান করা লিটনের ক্যাচ নেন ব্র্যাথওয়েট। তার ইনিংসে ছিলো ৩টি চার ও ৩টি ছয়। নতুন নামা আরিফুলও ছিলেন একই অনুসারী। বাইরের লেন্থের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন রাদারফোর্ডের হাতে।
৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকি ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন ভূমিকাহীন। কিমো পলের বাউন্সার পুল করতে গিয়েছিলেন সাইফ। ফল বল ব্যাটের উপরের অংশে লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। শেষ দিকে মিরাজ ও আবু হায়দারের দর্শনীয় ব্যাটিং কিছুটা আশা জাগালেও তা ছিলো ক্ষণস্থায়ী। ১৯ রান করা মিরাজকে বিদায় দেন কট্রেল। শেষ দিকে ১৭তম ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজকে ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করলে ১৪০ রানেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। ক্যারিবীয়দের হয়ে ১৫ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন কিমো পল। দুটি নেন ফাবিয়ান অ্যালেন।