টাইগারদের জন্য ‘সবুজ ফাঁদ’ নিয়ে অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড

45

উইকেটের কাভার ওল্টাতেই বেরিয়ে পড়লো একরাশ সবুজ। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের এই সবুজ দেখলে যে কোনো ব্যাটসম্যানেরই আঁতকে ওঠার কথা। এমন উইকেটে তো আর ব্যাটসম্যানের করার কিছু থাকে না। পূর্ণরূপে এখানে সাম্রাজ্য বিস্তার করে বসেন পেসাররা। হ্যামিল্টনের সেডন পার্ক সেই সবুজের ফাঁদ নিয়েই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি কিংবা মিচেল সান্তনাররা যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে আগুন ঝরাবেন সেটা বলাই বাহুল্য।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৭টি টেস্ট খেলে কোনোটাতে জয় তো দুরে থাক, ড্র’য়ের স্বাদও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে অন্তত ড্র করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল টাইগাররা। সাকিবের ২১৭, মুশফিকের ১৫৯ রানের ওপর ভর করে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল টাইগাররা।
কিন্তু প্রথম ইনিংসের ঠিক বিপরীত কাজ করলো দ্বিতীয় ইনিংসে। অলআউট মাত্র ১৬০ রানে। ফলে, নিশ্চিত ড্র করার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ হারলো ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সাফল্য বলতে ওইটুকুই বাংলাদেশের। এবারের সফরে শুরুতেই হয়ে গেছে ওয়ানডে সিরিজ এবং তিন ম্যাচের সিরিজের সব ক’টিতেই গো-হারা হেরেছে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হয়ে যাবে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট।
এই টেস্টে কি করবে বাংলাদেশ? কেমন হবে হ্যামিল্টনের উইকেট? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, সবুজ ফাঁদ নিয়েই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে কিউইরা। যদিও সেডন পার্কের কিউরেটর কার্ল জনসন বাংলাদেশের একটি মিডিয়াকে বলে দিয়েছেন, ‘এই উইকেটটা হবে সত্যিকারের স্পোর্টিং। এখানে বোলার এবং ব্যাটসম্যান- উভয়ের জন্যই কিছু থাকবে।’
কোচ স্টিভ রোডস ব্যাটসম্যানদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার পর থেকেই ব্যাটসম্যানদের রোগ নির্ণয় করা শুরু করেছেন তিনি এবং সে অনুযায়ী ঔষধও প্রয়োগ করছেন। কিন্তু কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের গতিময় এবং বাউন্সি উইকেটে খেই হারিয়ে ফেলছেন তারা।
ইনজুরির কারণে নেই সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে যিনি সবচেয়ে সফল পারফরমার। ইনজুরি ঝুঁকিতে রয়েছেন আরেক পারফরমার মুশফিকুর রহীমও। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফর্মে নেই। ফর্মহীন ওয়ানডে সিরিজ কাটিয়েছেন টপ অর্ডার তামিম, সৌম্য, লিটনরাও।
সুতরাং, হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের সবুজ উইকেট দেখে তো চিন্তিত হওয়ারই কথা। তবুও, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, ব্যাটসম্যানরা মানসিক দৃঢ়তা প্রদর্শণ করবেন এবং শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন তারা।