টাইগারদের চাপে রাখতে কোহলিদের ‘পেস ফাঁদ’?

24

সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ভারতের শক্তিশালি স্পিন বিভাগের সঙ্গে প্রায় সমান তালেই লড়েছিল দলটির পেস বোলিং বিভাগ। তিন ম্যাচের ওই টেস্টে প্রোটিয়াদের মোট ৬০ ইউকেটের স্পিনারদের দখলে ছিল ৩২টি উইকেট। বাকি ২৮টি ঝুলিতে পুড়েছিলেন পেসাররা। সিরিজটিতে পেসার মোহাম্মদ শামির সঙ্গে যেন অন্য এক উমেশ যাদবকে দেখা গিয়েছিল। দুই টেস্টে শিকার করেছিলেন ১১ জন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে।
সঙ্গত কারণেই আজ বৃহস্পতিবার থেকে ইনদোরে শুরু হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হয়ত তিন স্পিনার ফর্মুলায় যেতে চাইবে না ভারত টিম ম্যানেজমেন্ট। সে ক্ষেত্রে পেস আক্রমন ভাগে দেখা যেতে পারে ইশান্ত শর্মাকেও। যদিও আহামরি ফর্মে নেই এই ভারেত পেস সেনসেশন। তথাপিও মুমিনুলদের বিপক্ষে তার একাদশে থাকা নিয়ে উঠেছে জোর গুঞ্জন।
ম্যাচটিতে ভারতের বোলিং লাইন আপ এমন হতে পারে; মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদবের সঙ্গে পেস তোপ চালাবেন ইশান্ত শর্মা। আর স্পিন বিভাগের গুরু দায়িত্ব সামলাবেন; রবিন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দন অশ্বিন। ইশান্ত ঢুকে পড়লে একাদশে চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদবকে নাও দেখা যেতে পারে।
বলার অপেক্ষাই রাখছে না, বিশ্বসেরা বোলিং লাইন আপকে মোকাবেলা করতে হবে টিম বাংলাদেশকে। ব্যাটিং লাইন আপও কী কম শক্তিশালি? এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচাইতে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকেও যে মুমিনুলদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। সঙ্গে আছেন ‘হিটম্যান’ রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও আজিঙ্কা রাহানের মত টেস্ট পটুরা। তাদের বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে লাল সবুজের দল ব্যাটে বলে কেমন পারফর্ম করে সেটাই আসলে দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের বাজি না হয় জানা গেল। কিন্তু বাংলাদেশ দল সাদা পোষাকের এই লড়াইয়ে কোন বিভাগটিকে নিয়ে বাজি ধরতে পারে? পেস বোলিং বিভাগে অভিজ্ঞ বলতে আছেন প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় পরে দলে ফেরা আল আমিন হোসেন। বাকিরা সবাই তরুণ। মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলানো হচ্ছে না টি টোয়েন্টিতে বাজে বোলিংয়ের দায়ে। সেক্ষেত্রে ডেমিঙ্গ শিষ্যদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তরুণ এবাদত হোসেন ও আবু যায়েদ রাহির দিকে। তাদের সা¤প্রতিক ফর্মের দিকে তাকালে আশাবাদি হওয়ার কোন কারণই নেই।
সাকিব না থাকায় দলের স্পিন বোলিং বিভাগটিও বলতে গেলে তরুণ। অভিজ্ঞতার বিচারে কিছুটা এগিয়ে থাকা বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গী হিসেবে তরুণ নাইম হাসান কিংবা মেহেদি হাসান মিরাজকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু ভারতের মাটিতে তাদের স্পিন কতটুকু কার্যকরি হবে সেকথা এখনই বলা দায়।
তবে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও নির্ভার থাকতে পারে। কেননা বড় ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটলে এই সিরিজ দিয়েই অভিষেক হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যায় ভাসা সাইফ হাসান। আরেক তুর্কি তরুণ সাদমান ইসলাম অনীক তো আছেনই। আরও আছেন; অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস, লিটল মাস্টার-মুমিনুল হক, মিস্টার ডিপেন্ডেবল-মুশফিকুর রহিম ও মিস্টার কুল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে টেস্ট ক্রিকেটএমনই এক খেলা যেখানে শুধূ ব্যাটসম্যানেরা ভাল ব্যাটিং করলেইহবে না, বোলারদেরও প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে হবে। তাহলেই কেবল ভাল কিছু করা সম্ভব। নতুবা নয়।