টাংকির পাহাড় থেকে সরানো হলো ৮০ পরিবার

83

বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন জুট মিল সংলগ্ন টাংকির পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা ৮০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন টাংকির পাহাড়ের পাদদেশ দখল করে গড়ে উঠা একাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহি অনুপম, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আফরিন মোস্তফা, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় বায়েজিদ এলাকার টাংকির পাহাড়ে ঝুঁকির্পূণ ও অবৈধভাবে বসবাসরতদের জানমালের নিরাপত্তায় মঙ্গলবার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত ১৬ জন অবৈধ দখলদারের ১০ জনের ৬০টি ও ৬ জনের ২০টি ভাড়া ঘরসহ মোট ৮০টি পরিবারের অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে টাংকির পাহাড়ের পাদদেশে গলির ভিতরে দুই লাইনে থাকা ঘরগুলো ভেঙ্গে টিনের চালা ফুটো করে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। উচ্ছেদকৃত পরিবারের সদস্যদেরকে আপদকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রমজানের পূর্বে নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড়, একে খান পাহাড় এলাকায় ৩৫০ ঝুঁকিপ‚র্ণ বসবাসরত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪টি পাহাড়ে দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ কার্যক্রম আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তালিকা অনুযায়ী নগরের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। গত ১৬ মে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এসব পরিবারকে ১৫ জুনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বাধা সত্তে¡ও রমজানে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম পর্যায়ে মতিঝর্ণা পাহাড়, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড় এবং একে খান পাহাড় থেকে ৩৫০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।