ঝেঁকে বসেছে শীত দরিদ্র সাধারণ মানুষের পাশে থাকা প্রয়োজন সাধারণত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস শীতকাল। ডিসেম্বরের তৃতীয় দশকে এসে ঝেঁকে বসেছে শীত। শীতে অপরিহার্য পোশাক শীতবস্ত্র। বিত্তশালীরা শীত বস্ত্রের বাহারি আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও রেলসড়কের পাশে, বস্তিতে, পাহাড়ে কাঁচাঘরে যারা বসবাস করে তাদের জন্য শীতের প্রকোপ সামাল দেয়া খুবই কঠিন বিষয়। বাস্তুহারা দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য শীতকাল বড়ই বিড়ম্বনার। শীতকালে মোলায়েম কম্বলের ভেতর আরামদায়ক বিছানায় যারা থাকতে পারে তাদের জন্য শীত ঋতু বড়ই মজার। তারা ভাপাপিঠা, খেজুর রস, বিন্নি ভাত ইত্যাদি আয়েস করে খান। কোট-জ্যাকেট, উন্নতমানের শাল কাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে শীত থেকে নিজেদের শরীরকে বাঁচিয়ে রাখেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনী হাওয়া সমগ্রদেশ গরম হয়ে উঠলেও হতদরিদ্র মানুষ শীত কাপড় জোগাড় করতে না পেরে ভয়ানক কষ্ট ও বিড়ম্বনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নির্বাচনের ডামাঢোলের মধ্যে সরকার ও বিত্তশালীরা দরিদ্র সাধারণের শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ভুলে যেতে বসেছে। কিছু কিছু শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি যে নেই তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে বর্তমান সময়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি কম দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন এজিও এবং সেচ্ছাসেবি সংগঠন ও একর শীতে কেমন জানি ঐদাসিন্য দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এ পৃথিবীতে হতদরিদ্র মানুষের চাইবার অনেক কিছু আছে। তবে এ মুহ‚র্তে তাদের শীত নিবারণের গরম কাপড়, কম্বল ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। সরকার এ নির্বাচনকালীন সময়ে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণের উপর গুরুত্ব দিতে পারে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ কাজ সরকার সম্পন্ন করবেন রাজনৈতিক প্রশ্ন আসবে না। জানুয়ারিতে শীত আরো বাড়তে পারে। হতদরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে সরকার, এনজিও, সেচ্ছাসেবি সংগঠনসহ বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সামর্থ্যবানদের উপর দরিদ্র মানুষের হক রয়েছে। সরকারের উপরও আছে। মানবিক কারণে একটু করে শীত কাপড় কিংবা রাত যাপনের জন্য এক খন্ড কম্বল জোগাড় যারা করতে পারছে না তাদের পাশে সকলের দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত শীতাক্রান্ত মানুষের।

285

ঝেঁকে বসেছে শীত
দরিদ্র সাধারণ মানুষের
পাশে থাকা প্রয়োজন

সাধারণত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস শীতকাল। ডিসেম্বরের তৃতীয় দশকে এসে ঝেঁকে বসেছে শীত। শীতে অপরিহার্য পোশাক শীতবস্ত্র। বিত্তশালীরা শীত বস্ত্রের বাহারি আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও রেলসড়কের পাশে, বস্তিতে, পাহাড়ে কাঁচাঘরে যারা বসবাস করে তাদের জন্য শীতের প্রকোপ সামাল দেয়া খুবই কঠিন বিষয়। বাস্তুহারা দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য শীতকাল বড়ই বিড়ম্বনার।
শীতকালে মোলায়েম কম্বলের ভেতর আরামদায়ক বিছানায় যারা থাকতে পারে তাদের জন্য শীত ঋতু বড়ই মজার। তারা ভাপাপিঠা, খেজুর রস, বিন্নি ভাত ইত্যাদি আয়েস করে খান। কোট-জ্যাকেট, উন্নতমানের শাল কাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে শীত থেকে নিজেদের শরীরকে বাঁচিয়ে রাখেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচনী হাওয়া সমগ্রদেশ গরম হয়ে উঠলেও হতদরিদ্র মানুষ শীত কাপড় জোগাড় করতে না পেরে ভয়ানক কষ্ট ও বিড়ম্বনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নির্বাচনের ডামাঢোলের মধ্যে সরকার ও বিত্তশালীরা দরিদ্র সাধারণের শীতবস্ত্র বিতরণের কথা ভুলে যেতে বসেছে। কিছু কিছু শীতবস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি যে নেই তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে বর্তমান সময়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি কম দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন এজিও এবং সেচ্ছাসেবি সংগঠন ও একর শীতে কেমন জানি ঐদাসিন্য দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
এ পৃথিবীতে হতদরিদ্র মানুষের চাইবার অনেক কিছু আছে। তবে এ মুহ‚র্তে তাদের শীত নিবারণের গরম কাপড়, কম্বল ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। সরকার এ নির্বাচনকালীন সময়ে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণের উপর গুরুত্ব দিতে পারে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ কাজ সরকার সম্পন্ন করবেন রাজনৈতিক প্রশ্ন আসবে না।
জানুয়ারিতে শীত আরো বাড়তে পারে। হতদরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে সরকার, এনজিও, সেচ্ছাসেবি সংগঠনসহ বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সামর্থ্যবানদের উপর দরিদ্র মানুষের হক রয়েছে। সরকারের উপরও আছে। মানবিক কারণে একটু করে শীত কাপড় কিংবা রাত যাপনের জন্য এক খন্ড কম্বল জোগাড় যারা করতে পারছে না তাদের পাশে সকলের দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত শীতাক্রান্ত মানুষের।