ঝুঁকিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক

43

টানা বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কলাবাগানে ছড়ার পানির স্রোতে সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় সড়কটি ধসে যান চলাচল বন্ধ হতে পারে। ২০১৭ সালেও ব্যাপক বর্ষণে সড়কটিতে যান চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। এদিকে পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের বেশকিছু স্থানে সড়কের পাশের মাটি ধসে সড়কটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়ক বিভাগ বৃষ্টির মধ্যেও ছড়ার পানির স্রোতের দিক পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কলাবাগান এলাকার সুশীল চাকমা বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের পাশের মাটি আস্তে আস্তে ধসে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেকজন বলেন, স্থানীয় কিছু লোকজন মিলে আমরা পানির স্রোতে দিক পরিবর্তন করেছি। সড়ক বিভাগের লোকজন দেরিতে আসায় ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল কাদের জানান, পানির স্রোতের কারণে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সড়কটি রক্ষা করতে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) শংকর চন্দ্র পাল বলেন, টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা গাছের খুঁটি ও বস্তা ফেলে স্রোতের যে অংশটি পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে বৃষ্টি না থামায় প্রবল স্রোতের কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রথমে ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু।
বাঘাইছড়ির মধ্যমপাড়া, মুসলিম বøক, পুরান মারিশ্যা, বটতলীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। এলাকাগুলোতে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, টানা কয়েকদিনে বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জাফর আলী খান জানান, পৌরসভার অনেক এলাকায় মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। টিউবওয়েলগুলো ডুবে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট আছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু জানান, দ্রæতগতিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। নদীতে স্রোতের কারণে ত্রাণ এখনও পৌঁছেনি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবারের ব্যবস্থা করছেন। পৌর এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বাজার থেকে খাবার কিনে সরবরাহ করা হচ্ছে।