জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

648

জ্বর, ঠান্ডা-কাশি নিয়ে আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু ধারণা রয়েছে। জ্বর হলে এটা করা যাবে না, ঠান্ডা লাগলে সেটা খাওয়া যাবে না ইত্যাদি। এসব ধারণা বা নিয়মকানুন আদৌ সঠিক কিনা তা জানি না অনেকেই।
অসুস্থতা বা খাবার সম্পর্কিত চিরাচরিত এসব নিয়মকানুন বা ধারণা সবসময় সঠিক নয়।
বরং কখনও কখনও দেখা যায় অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে যেটা খাদ্যতালিকা থেকে ছাঁটাই করছেন হয়তো সেটাই ওই অসুখের জন্য আদর্শ কোনো পথ্য। চলুন জেনে নিই-
ঠান্ডা লাগলে কলা, আঙুর, তরমুজ ও কমলা খাওয়া উচিত নয় : অনেকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন ঠান্ডা বা কাশিতে কোনো ফলই খাওয়া যাবে না। বর্তমানে এ ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে এটি প্রমাণিত, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ঠান্ডা কাশি দূর করতে সহায়ক। পরিমিত পরিমাণ ফল খাওয়া যেতেই পারে। দিনের প্রথমভাগে ফল খাওয়া উত্তম। কলাকে ঠান্ডা ফল বলে মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে, কলা পেস্ট করে খাওয়ালে তা শিশুদের ঠান্ডা সারায়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে মানা : ঠান্ডা লাগলে দুধ খাওয়ার ব্যাপারে অনেকের আপত্তি না থাকলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই মনে করেন, সর্দিতে দই খাওয়া যাবে না। অনেকের বিশ্বাস দই ঠান্ডা খাবার। এটি খেলে কাশি বাড়তে পারে। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ঠান্ডা, কাশি বা জ্বরে দই খাওয়া নিরাপদ। তবে দই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হলে খাওয়ার সময় তা ওভেনে হালকা গরম করে নেওয়া ভালো।
জ্বর হলে স্নান নয় : জ্বর হলে স্নান করা যাবে না এই ধারণা থেকে অবশ্য আজকাল অনেকেই সরে এসেছেন। এখন ডাক্তাররাই বলেন, জ্বর হলে স্নান নিতে। সেক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে স্নান নেওয়া ভালো।
ঠান্ডা-কাশিতে শিশুকে ঘি দিতে নেই : ভারতীয় উপমাহদেশীয় আনুষঙ্গিক খাবারের মধ্যে অত্যন্ত পুষ্টিকর অনুষঙ্গ এটি। ঘি ফুসফুস ভালো রাখে, ইনফেকশন দূর করে, শুকনো কাশি প্রতিরোধ করে ও মিউকাস দূর করে। সূত্র : ইন্টারনেট