জেলে ও যাত্রীদের ডিজিটাল সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রামীণফোনের

50

বঙ্গোপসাগরে তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করা জেলে এবং যাত্রীদের যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সমুদ্রে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শক্তিশালী করার কাজ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি বরগুনা জেলার উপক‚লবর্তী পাথরঘাটায় নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল সার্ভিস উদ্বোধন করেন গ্রামীণফোন এর ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান।
মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত এসব জেলেরা সমুদ্রে দীর্ঘ সময় অবস্থানকালে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতো। গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করায় সমুদ্র পথে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত লক্ষাধিক জেলে এখন সার্বক্ষণিক পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়েও তারা আগাম জানতে পারবে মোবাইলের মাধ্যমে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমুদ্রগামী জেলেদের ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি, ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও মাছ ধরার নৌযানগুলোকে ট্র্যাকিং করা যাবে।
গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ দুই ধাপ সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৭টি পয়েন্ট থেকে এই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলার চর, কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজ কেন্দ্র করে স্থাপিত গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক এর সুবিধা পাওয়া যাবে। এসব অঞ্চলে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার জেলে আছে।
সমুদ্রপথে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব আয়ে উপক‚লীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণে উপকূলে বসবাসরত জেলে সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ডিজিটাল সার্ভিসের সহায়তায় সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত মাঝি ও জেলে ভাইদের জীবন আরও সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত করা যাবে।