জিয়া হায়দার নাট্যপদকে ভূষিত নাট্যজন রবিউল আলম

112

গ্রুপ থিয়েটার ‘নাট্যাধার’ প্রবর্তিত জিয়া হায়দার নাট্যপদক ২০১৯ এ ভূষিত হলেন মঞ্চাভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক রবিউল আলম। তিনি পেয়েছেন ১২তম জিয়া হায়দার নাট্যপদক। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যাধার নাট্যপার্বণের তৃতীয় দিন রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবিউল আলমের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। নাট্যাধারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল যাত্রার সভাপতিত্বে এবং মঞ্চাভিনেতা দেবাশিস রুদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি প্রমুখ। অনুষ্ঠানের নাট্যজন রবিউল আলমের জীবনী পাঠ করেন মঞ্চাভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী। তির্যক নাট্য স¤প্রদায়ের অন্যতম উদ্যোক্তা নাট্যজন রবিউল আলম ১৯৪৬ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষে (১৯৬৫) জীবনের প্রথম নাটক (বর সংকট) লিখে হ্যাজাকের আলোয় তার মঞ্চায়ন করেন। জন্মস্থান বগুড়ার বারপুর গ্রামে। তবে নাটকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন কর্মস্থল চট্টগ্রামে। অফিস পাড়ার নাটকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথমে অভিনেতা (১৯৭২) ও পরে নাট্যকার (অথচ অন্ধকার ১৯৭৩) রূপে। তির্যক নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার (১৯৭৪) মাধ্যমে গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় যুক্ত হন। তির্যকের প্রথম নাটক জননীর মৃত্যু চাই এর রচয়িতা। পদক প্রাপ্তির অনুভুতি জানাতে গিয়ে রবিউল আলম বলেন, পদক পেতে সবারই ভালো লাগে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু নয়। অনেক বেশি আনন্দিত আমি। জিয়া হায়দারের নামে পদক পাওয়াটা ভাগ্যের বিষয়। বিজ্ঞপ্তি