জিয়া প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্ম দিয়েছিলেন

41

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি বিলি পাস করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম বন্ধ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্ম দিয়েছিলেন জিয়া। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৭তম জন্মবার্ষিকী এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।-খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটেন। তার সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে দলকে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে বিভিন্ন সময় শকুনেরা খামচে ধরেছে। এর অন্যতম নায়ক জিয়াউর রহমান। বিএনপিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জন করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির জনসভায় কোনও বোমা হামলা হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, এরশাদের ক্ষমতা দখলের পেছলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সায় ছিল। এর প্রমাণ খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করেননি।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবান্তর কথা না বলে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। নিজেদের দল সংগঠিত করুন। আমরা চাই, বিএনপি দেশের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখে তাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সংগঠনের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কামাল চৌধুরী, আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ।