জামিনে থাকা দুই আসামিকে জেলে প্রেরণ

27

হাটহাজারী পৌর সদরের গালস্ স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাছনিম সুলতানা তুহিনকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টর দিকে চট্টগ্রামের সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রিয়াদ উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, শুনানিতে মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্না (২২) ও অপর দুই আসামি মুন্নার বাবা পৌরসভা এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মো. ইদ্রিসের পুত্র পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান সিরাজ (৫২) এবং তার স্ত্রী ও প্রধান আসামি শাহনেওয়াজের মা নিগার সুলতানাকে (৪৫) বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মামলার চার্জশিটের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা প্রধান আসামি মুন্নার বাবা-মা’র জামিন আবেদন করেন। এসময় বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে প্রধান আসামির বাবা-মা’র জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং মামলাটি বিচারিক আদালতে প্রেরণ করে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এরআগে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আকির জাবেদ মামলা দায়েরের প্রায় ৯ মাস ২৫ দিন পর গত ১০ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন আদালতের কাছে মামলার চ‚ড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। পরবর্তীতে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র সম্পর্কে বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। তাছাড়া চ‚ড়ান্ত চার্জশিট আদালতে দাখিলের দিন অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির জন্য এ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আদালত ওই দিন শুনানি না করে রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা শাহজালাল পাড়া সালাম ম্যানশনের ৪র্থ তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে স্কুল ছাত্রী তাসনিম সুলতানা তুহিনকে (১৩) ধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুন করে মামলার প্রধান আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্না। সম্ভ্রম ও আত্মরক্ষার্থে তুহিন চিৎকার দিলে মুন্না তার মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে তুহিনের লাশটি ওই ঘরের সোফার নিচে প্লাস্টিকের বস্তা ভরে গুম করে মুন্না। ঘটনার ৩ দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পালাতে গিয়ে মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোফার নিচ থেকে তুহিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।