জানুয়ারির শেষে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

37

এ মাসের শেষদিকে দেশজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। মাঘের শুরুতে দেশের বড় একটি অংশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর তাপমাত্রা কমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭ জানুয়ারি যেখানে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ১, গত সোমবার সেই তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা কমেছে। তবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের তাপমাত্রা আগের মতোই আছে।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায়, ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলাসিয়াস। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৫, সিলেটে ১৩ দশমিক ১, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, রংপুরে ১০ দশমিক ৫, খুলনায় ১১ দশমিক ৮ এবং বরিশালে তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠান্ডা বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশে। হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে এসব এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ৩১ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩ টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ২ টি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।