জাদুঘরের নাম পরিবর্তন জনগণ মেনে নেবে না

57

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশের কঠিন এক রাজনৈতিক শূন্যতায় জিয়াউর রহমান ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছিলেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার ও জেডফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিয়া জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সরকারি ষড়যন্ত্র চট্টগ্রামের জনগণ কখনো মেনে নিবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহমদ সড়কে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস। এই সার্কিট হাউসেই তিনি আততায়ীর হাতে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। সার্কিট হাউসের দেয়ালে দেয়ালে শহীদ জিয়ার রক্ত মিশে আছে। সেইজন্য একজন সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত জিয়া জাদুঘরের নামফলক মুছে ফেলার মত ধৃষ্টতা স্থাপনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার বৃথা চেষ্টা করছে। জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। শত জুলুম নির্যাতন করেও জনগণের মন থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও দেশের জনগণকে ভয় পায়। তারা প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল। তাই জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, এসএম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, শাহেদ বক্স, ইসহাক চৌধুরী আলিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম সরওয়ার আলম, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, মো. হানিফ সওদাগর, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, ডা. শাকির উর রশিদ, আবু মুছা ও আলী আজম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, চকবাজার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, নগর মহিলা শ্রমিক দল সভাপতি শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর বিএনপির সদস্য আলী ইউসুফ, ইউসুফ সিকদার, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, আঁখি সুলতানা, আতিকুর রহমান, জমির আহমদ, কানিজ ফাতেমা মিতা, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এসএম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামসুল আলম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মো. আসলাম, ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুর রহমান রিপন, এসএম আবুল কালাম আবু, কামরুল ইসলাম, হাসান ওসমান, হাজী মো. এমরান, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি সাহাবউদ্দিন হাসান বাবু, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন, বিএনপি নেতা মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আলমগীর, আব্দুল জলিল, দিদারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন জুনু, ইসমাইল বালি, মো. রিয়াদ, সাংস্কৃতিক দলের রফিকুল ইসলাম, নগর যুবদল নেতা এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মনোয়ার হোসেন মানিক, কামরুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আশরাফ উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, নাজিম উদ্দীন, মাহবুব খালেদ, নগর ছাত্রদল নেতা বশিরুল ইসলাম পলাশ, মো. সাইফুল আলম, মো. মিল্টন, মো. শহিদুজ্জামান, শরীফুল ইসলাম, এফ রুমি, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, এন মোহাম্মদ রিমন প্রমুখ।