জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত

187


চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি :
জাতীয় শ্রমিকলীগের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সভা ও আনন্দ র‌্যালি ঐতিহাসিক দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অুষ্ঠানের সূচনা করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্য্যকরী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী। চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়তলী ফৌজদারহাট অঞ্চলের সভাপতি শফি বাঙালি, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মিরন হোসেন মিলন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি, বক্তব্য রাখেন- সিটি হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, টেরিবাজার আন্দরকিল্লা হকার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লোকমান, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর, তামাকুমন্ডি লেইন দোকান কর্মচারী শ্রমিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ বখতেয়ার, চট্টগ্রাম অটো টেম্পো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, শ্রমিক নেতা নুরুল আমিন মিয়া, মোহাম্মদ শাহ আলম ভূঁইয়া, এস.এম সেলিম, ফরিদ আহমদ, মো. জহির, স্বরূপ বড়ুয়া, মো. এয়াকুব, জসিম হাজারি, আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহ আলম, মো. ইউনুচ, খন্দকার দেলোয়ার, মো. মাসুম, মো. দুলাল, মো. সোহেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগ :
জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫০তম রজতজয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি জাতীয় শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের এর উদ্যোগে চেরাগী পাহাড়স্থ মহানগর শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি মো: রিয়াজ এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম ওয়াসার সিবিএ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: নুরুল ইসলাম। বিভিন্ন অঞ্চল ও বেসিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো বক্তব্য রাখেন মো: সোলায়মান, মো: ইসমাইল, আলমগীর, মো: খোকন, দীলিপ সরকার, মো: শাহাজাহান, মো: মনির হোসেন, মো: জাহাঙ্গীর, মো: সাহাবউদ্দীন ভূঁইয়া, আমীর হোসেন, মোবারক হোসেন, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৬৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বস্তরের শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে শ্রমিকদের দাবি ও ন্যায্য পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিকলীগ গঠন করিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর অধিকাংশ মিল এবং কল-কারখানা বিরাষ্ট্রীয়করণ করে শ্রমিকদেরকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বড় দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করার পর পর্যায়ক্রমে বিরাষ্ট্রীয়করণ সংস্থাগুলো বন্ধ ও অচল অবস্থায় হওয়ার কারণে আজ শ্রমিক কর্মচারীরা বেকারত্ব বেরেছে। তাছাড়াও শ্রমিক কর্মচারীদের উপর বিভিন্ন প্রকারে জুলুম অত্যাচার নির্যাতন হচ্ছে। বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার হয়ে আমরা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা বিভিন্নভাবে বিভক্তি হবার কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত সম্ভব্য হচ্ছে না। তাই আমরা সর্বস্তরের শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জাতীয় শ্রমিকলীগের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য শপথ গ্রহণ করার আহব্বান জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি