জাতিসংঘে মার্কিন দূত হওয়ার লড়াই থেকে সরে গেলেন নোয়ার্ট

52

আকস্মিকভাবে জাতিসংঘের নতুন মার্কিন দূত পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হিথার নোয়ার্ট। শনিবার (১৬ ফেব্রæয়ারি) এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত এ প্রার্থী জানান, ‘পরিবারের ইচ্ছায়’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োজিত আছেন নোয়ার্ট।
গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বর্তমান মার্কিন দূত নিকি হ্যালি বছর শেষে পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। আর তার দায়িত্ব নিতে যাওয়া নোয়ার্ট ২০১৭ সালের এপ্রিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পান। সরকারি চাকরিতে এটাই তার প্রথম নিয়োগ। এ বছরের মার্চে তাকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স’ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের মার্কিন দূত হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিকি হ্যালি। জানান, ওই বছরের শেষ নাগাদ পদ ছাড়ছেন তিনি। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নতুন মার্কিন দূত হিসেবে নোয়ার্টকে মনোনীত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ পদটিতে সাধারণত দক্ষ আলোচক ও পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মার্কিন সরকারে মাত্র দুই বছর ধরে কাজ করা নোয়ার্ট আদৌ সে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন অনেকে। এরমধ্যেই শনিবার আচমকা মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন নোয়ার্ট।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে নোয়ার্ট ‘পরিবারের ইচ্ছা’র কথা উল্লেখ করলেও সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে অন্য কারণের কথা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সূত্র জানিয়েছে, নোয়ার্টের পারিবারিক ইতিহাস যাচাই বাছাই করতে গিয়ে একটি ইস্যু সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, ‘নোয়ার্ট ও তার স্বামী তাদের বাসায় একজন অভিবাসী ন্যানিকে নিয়োগ দিয়েছেন। ওই অভিবাসী ন্যানি যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে প্রবেশ করলেও তার যথাযথ ওয়ার্ক ভিসা নেই।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ফক্স নিউজের হয়ে কাজ করেন হিথার নোয়ার্ট। পরের দুই বছর এবিসি নিউজে কাজ করে ২০০৭ সালে আবারও ফক্স নিউজে ফেরেন তিনি। পরে ফক্স নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’র উপস্থাপক হন। বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক বৈরি হলেও ফক্স নিউজ তাকে সবসময়ই সমর্থন করে গেছে। বাংলাট্রিবিউন