জাগরণের বার্তা দিয়ে সৃজামির গণসংগীত উৎসবের যবনিকা

59

ব্যক্তি ও সমষ্টি জীবনের দুঃখ, হতাশা, লাঞ্ছনা, দ্ব›দ্ব-সংঘাত, সমস্যার মূলোৎপাটনে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও জাগরণের বার্তা সম্বলিত সচেতনী সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো সৃজামি সাংস্কৃতিক অংগনের তিনদিনব্যাপী গণসংগীত উৎসব। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ১৬-১৮ জানুয়ারি ‘ঐক্যের সুরে, বিশ্বজুড়ে জীবনের জয়গান’ শীর্ষক এ আয়োজন উদ্বোধন করেন কবি, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী বিপুল চক্রবর্ত্তী।
গতকাল শনিবার সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় শুরু হয় কর্মসূচি। শিল্পী জয়নুল আবেদীন গ্যালারীতে ‘প্রতিবাদের গান, ভালোবাসার গান’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী বিপুল চক্রবর্তী ও অনুশ্রী চক্রবর্তী। অতিথি আলোচক শিল্পী বিপুল চক্রবর্তী তার গণসঙ্গীত বিষয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলেন। আলোচক ছিলেন নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, নাট্যনির্দেশক অসীম দাশ, কবি জিল্লুর রহমান, শিল্পী শ্রেয়সী রায়, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, দুলাল দাশগুপ্ত, সৃজামির দলপ্রধান সুজিত চক্রবর্তী এবং সংগীতশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীবৃন্দ। বিকেল ৫টায় অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অতিথি শিল্পী অনুশ্রী চক্রবর্ত্তী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দীন সিকদার, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীবৃন্দদের সম্মাননা স্মারক প্রদান শেষে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মৃণাল ভট্টাচার্য, জয়ন্তী লালা ও সুজিত রায়। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন সৃজামির শিল্পী সংগীতা চক্রবর্ত্তী ও সঞ্চিতা চক্রবর্ত্তী।
সন্ধ্যে ৭টায় মূলমঞ্চে সংগীত শিল্পী বিপুল-অনুশ্রীর পরিবেশনায় প্রতিবাদের গান, ভালোবাসার গান উপভোগ করেন দর্শকরা। রাত ৯টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। তিনদিনের গণজাগরণমূলক আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সৃজামি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী। বিজ্ঞপ্তি