জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যু এসডিজি অর্জনে সমস্যা

65

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় ইতোপূর্বে এমডিজিতে বাংলাদেশের অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এমডিজির অর্জন প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা গেলে আগামীতে এসডিজির সব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এসডিজির জন্য স্থানীয়ভাবে মডেল ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে নাটোরকে ঘিরে একটি মডেল ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জেলাকে ঘিরে আলাদা আলাদা মডেল ঘোষণা করা হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যু অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে নতুন ১১ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ও একটি বড় বাধা। এসডিজি বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা ও জলবায়ু সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ভাবছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে সমস্যা দুটি সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। আশা করছি ঐ সম্মেলন থেকে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর সমাধান বেরিয়ে আসবে। স্থানীয় পর্যায় থেকে এসডিজি বাস্তবায়ন হবে। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
গত রোববার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত “স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন” বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস কর্মশালার আয়োজন করেন।
মুখ্য সচিব বলেন, চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এখানকার সমুদ্র বন্দরসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসডিজি অর্জনেও চট্টগ্রাম অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বিদেশি সংস্থাগুলো দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো দেখছে। গত ১০ বছরে সারাদেশে সরকারের বড়-ছোট অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন হয়েছে। বেশকিছু প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তদারকি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আতিকুল হক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইদুল ইসলাম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আখতার হোসেন।
কর্মশালার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিআইইউ’র পরিচালক মোঃ আলী নেওয়াজ রাসেল। কর্মশালায় বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, মোঃ নুরুল আলম নিজামী, মোঃ শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য মোঃ জাফর আলম, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এদিকে কর্মশালা শেষে বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেল ও সরকারের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ঘুরে দেখেন। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মুখ্য সচিবের সাথে ছিলেন। এছাড়াও গতকাল মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান। খবর বিজ্ঞপ্তির