জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী শিল্পোন্নত দেশ : মেয়র

31

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশের ক্ষতির প্রভাব থেকে উত্তরণ ও জনগণকে সচেতন করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সঙ্গে কোরিয়ার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেজয়নের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে নগরীর হোটেল সৈকতের হলরুমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতবাসের সহযোগিতায় কোরিয়ার সিঙ্গু কলেজের এনভায়রনমেন্টাল ক্লাব ন্যাচার প্লাস ও কোরিয়ার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেজয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ জলবায়ু উদ্বাস্তু দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে করপোরেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা ও ডেজয়নের পক্ষে সিইও মিয়া কেয়াং।
সভায় সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির জন্য দায়ী। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে পরিবেশের পরিস্থিতি বিরূপ আকার ধারণ করছে। ফলে বিশ্বব্যাপী মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। হারাচ্ছে তাদের পেশা। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।
ন্যাচার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জ্যাং জি হি এর সঞ্চালনায় এতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির প্রভাব সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, ৯নং ওয়ার্ড ফিরোজশাহ এলাকার উদ্বাস্তু ধনি বেগম, দেওয়ানহাট কলেজের শিক্ষক আবু ইউসুফ মাসুদ খান, পোস্তারপাড় সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন স্কুলের ছাত্রী সায়মা বেগম। অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। এতে নগরীর পাহাড়ের পাদদেশ ও বস্তিতে বসবাসরত উদ্বাস্তু জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্তদের উপহার স্বরূপ একটি করে পাপেট উপহার দেয়া হয়। পরে ন্যাচার প্লাস ও ডেজয়নের সদস্যরা একটি সমবেত সঙ্গীত নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করেন। উল্লেখ্য, ডেজয়ন বাংলাদেশ ও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সাথে থাকবেন ন্যাচার প্লাস। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে তাদের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সুযোগ থাকবে। খবর বিজ্ঞপ্তির