চট্টগ্রামের এলএ শাখায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ দাবি করেও ঐ শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার অসহযোগিতায় তা পেতে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সীতাকুন্ডের পশ্চিম আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ উল্লার ছেলে মামুনুর রশিদ। শুধু তাই নয়, শুনানিকালে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবীর কোন কথা না শুনে অপর পক্ষে একতরফা রায় দেন। ফলে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তিনি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে মামুনুর রশিদ জানান, মহাদেবপুর মৌজার বিএস দাগ নং ২১১ এর ৫৭ শতক জায়গার মধ্যে ১০ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ঐ জায়গার তিনি মালিক ও দখলদার হওয়ায় তিনি বিগত এলএ শাখার ৮ ধারার নোটিশ পেয়ে ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু অপর একটি পক্ষও ঐ জায়গার ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে পাঁয়তারা শুরু করেন। এ কথা জেনে তিনি এলএ শাখার অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমার নিকট আপত্তি দাবি করলে তিনি গত ২০ জানুয়ারি দুই পক্ষকে নিয়ে শুনানি করেন। কিন্তু শুনানিতে মামুনুর রশিদের নিয়োজিত আইনজীবীর কোন কথা না শুনে প্রতিপক্ষের অনুকূলে এক তরফা রায় প্রদান করেন। এ কারণে তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবে অভিযোগ করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি পুনরায় সুবিবেচনার অনুরোধ জানান।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম এলএ শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা
ফারহানা জাহান উপমা বলেন, আমরা কাউকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার আগে অবশ্যই সরেজমিনে জায়গা দখল, দুই পক্ষকে সুযোগ দিয়ে শুনানি করা এবং যিনি জমির মালিক চেক নিচ্ছেন তার কাছ থেকে এফিডেভিটও নিচ্ছি, যদি ঐ জায়গার মালিকানা অন্য কেউ দাবি করেন এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তিনি গ্রহণকৃত টাকা ফেরত দেবেন। এ ক্ষেত্রেও সে সুযোগ আছে। এখানে মনে হয় শুনানি হয়েছে-এখনো চেক দেওয়া হয়নি।