ঈদের আনন্দ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা, ছাত্র-শিক্ষক, শিশু-কিশোর, ধনী-গরীব, মধ্যবিত্ত সবাই ভাগাভাগি করে নেয়। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এ আনন্দ উৎসব মুসলিম স¤প্রদায়ের জন্য। চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলো কেনাবেচায় জমে উঠেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সাধারণ ক্রেতাদের দৌঁড়ঝাপ বাড়ছে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে। এলাকার ছোট বড় মার্কেট গুলোতে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। সারাদিন বেচাকেনার পাশাপাশি তারাবীহ নামাজের পর চলে আরেক দফা বেচাকেনা। নায়িকার নামের সাথে মিলিয়ে হিন্দী ও বাংলা সিনেমার নায়িকাদের নামে করা হয়েছে থ্রি-পিছ।
কিরণমালা, পাখি, কাটরিনা, কারিনাকে ছাপিয়ে এবার ঈদে মেয়েদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে বাহারি ডিজাইনের থ্রি-পিছ। সে সাথে ফ্লোরটাস, কটকটি ও ভেনসন নামে বাহারি ডিজাইনের পোষাক পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটগুলোতে। যে কাপড়টির দাম সবচেয়ে বেশি হাকাচ্ছে বিক্রেতা, সেদিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা। বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন রকমের তোরণ ও পেস্টুন দিয়ে বাহারী রঙে সাজানা হয়েছে মার্কেটগুলো। উপজেলার দোহাজারীতে ১২০টি দোকান দিয়ে গড়ে উঠেছে হাজারী শপিং সেন্টার। শতাধিক দোকান নিয়ে খান প্লাজা, দুই শতাধিক দোকান নিয়ে হাজারী টাওয়ার। সে সাথে সিটি সেন্টারেও প্রচুর দোকান রয়েছে। এখানে বেশকিছূ দোকানে নামী-দামী কাপড় কালেকশন করায় নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। একইভাবে খানহাটের গণি সুপার মার্কেট, ছিদ্দিক বাছুরা শপিং সেন্টার, প্রফেসর মার্কেট, বৈলতলীর ইউনুচ মার্কেটে ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হওয়ায় দোকানীদের ফুরসুরত নেই। পছন্দের কাপড়টি কেনার জন্য এখন অনেকেই মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ সকল মার্কেটগুলোতে লোকের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে তারাবীহ নামাজ শেষ করে ক্রেতারা তাদের পছন্দসই কাপড়টি সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিক্রেতাদের মতে এ সময় আর তারা বেশি পাবে না। লাগাতার দুই সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে মার্কেটগুলো তেমন বেচাকেনা না হওয়ায় এখন ক্রেতাদের ভিড় পড়েছে কাপড়ের মার্কেট গুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের কাপড় কালেকশন করায় প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
মার্কেটগুলোতে ঢুকলেই বুঝা যায়, দোকানীরা যথেষ্ট মূলধন কাটিয়ে তৈরি পোষাক, শাড়ী, থ্রিপিছ, থান কাপড়, গয়না, বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা, প্রসাধনী সামগ্রীর প্রসারে সাজিয়েছে তাদের দোকানকে। পাকিস্তানের আলিসা, শাড়ির মধ্যে জামদানি, পার্টি, সিলকটন, চেঙ্গাসিল, তাঁতের শাড়ি, ভারতীয় দেশী সহ প্রচুর সংগ্রহ করেছে ব্যবসায়ীরা। সে হিসেবে ক্রেতাদের ভিড়ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিক্রয়ও হচ্ছে প্রচুর। মার্কেটে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সকল মার্কেট গুলোতে দাম শহরের তুলনায় অনেকাংশে কম। তাছাড়া শহরে যাওয়া-আসা যাতায়াত খরচ ও গাড়ীর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই এলাকা থেকে ক্রয় করছেন ঈদের সামগ্রী। সব মিলিয়ে চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে।