জবাব নেই বলে সংলাপে সরকারের ভয় : রিজভী

35

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভুয়া’ ভোটের জবাব দিতে পারবে না বলে সংলাপে বসতে চাইছে না ক্ষমতাসীনরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের প্রস্তাব আওয়ামী লীগের নাকচ করার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে দাবি করে পুনর্র্নিবাচনের দাবিতে সংলাপ ডাকতে সরকারকে আহ্বান করছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তা নাকচ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বিশ্বের ‘স্বীকৃতি’ পাওয়া নির্বাচনের পর পুনঃভোটের দাবি হাস্যকর। খবর বিডিনিউজের
রিজভী বলেন, এত বড় ভুয়া ভোটের নির্বাচনের পরেও আত্মমর্যাদাহীন আওয়ামী নেতারা নির্বাচন নিয়ে নির্লজ্জ গলাবাজি করছেন। ভোটের আগের রাতে যেখানে ৩০-৫০ শতাংশ ভোট দেওয়া হয়েছে, তাকে কি ভোট বলে? মহাভোট ডাকাতির যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখন সবার কাছে আছে। প্রচন্ড হুমকির মুখেও দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভোট ডাকাতির তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরছে। কেউই এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। সুতরাং ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কোনো সদুত্তর দিতে পারবেন না বলেই সংলাপে রাজি নয়। মহাডাকাতির ভোটের জবাব তাদের কাছে নেই।
রিজভী আবারও বলেন, প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ করেছে আওয়ামী লীগ। যে দল ভোটে বিজয়ী হয়, সাধারণত তাদের কর্মীরাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। আওয়ামী লীগ তো ভোটে বিজয়ী হয়নি, সেজন্য তাদের নেতা-কর্মীরা উৎসব করেনি। উৎসব করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি।
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই দাবি করে তার পক্ষে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, এই রিপোর্টের পর সরকারের কিছু আজ্ঞাবাহী বুদ্ধিজীবী অবান্তর কথাবার্তা বলেছেন। তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধাপে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থান তলানীর নিচে নিমজ্জিত।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ভোটের পর সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। সারাদেশে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষরা সরকারি সন্ত্রাসে আক্রান্ত। মনে হচ্ছে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়।