জন্মাষ্টমী পরিষদ কেন্দ্রীয় সম্মেলন ধর্মান্ধতা মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দেয় : অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত

16

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ধর্মকে আমরা ধারণ করবো আমাদের আত্মবুদ্ধি ও আত্মবিকাশের জন্য। তবে কখনো ধর্মান্ধতাকে নয়। ধর্মান্ধতা মানুষকে অজ্ঞতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। ধর্মান্ধতার জন্য মানবসভ্যতা ও সংহতি বিপর্যস্ত হয়। ধর্ম হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করার জন্য নয়।
তিনি বলেন, সকল নাগরিকের ঐক্য, সাম্য, সমতা ও সামাজিক মর্যাদার অভিপ্রায় নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার জন্য নয়। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নীতিবাচক দিকগুলো কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারের কারণে থমকে যাচ্ছে। মহাঐক্যে পরিণত হয়েছে সম্মেলন, ঘটেছে মহামিলন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ধারণ করে ঐক্যবদ্ধতার ধারাকে ভবিষ্যতে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। তিনি ১৬ জুলাই সকালে নগরীর জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ-বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী বলেন, সারাদেশে জন্মাষ্টমী পরিষদের নতুন মেরুকরণ শুরু হলো। গঠন করা হবে কোটি টাকার ফান্ড ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প। মানবতাই ধর্ম। সেবার মধ্যে প্রকৃত মানবতা নিহিত। সফলতার মূল শক্তি হলো ঐক্য। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আদর্শ ও মানবপ্রেম সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জন্মাষ্টমী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. চন্দন তালুকদার। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ দে এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে। আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন পরিষদের অর্থ সম্পাদক রতন আচার্য্য। লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতœাকর দাশ টুনু, দক্ষিণ জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল ঘোষ বাবুন, রাজশাহী জন্মাষ্টমী পরিষদের তপন সেন প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সুজিত কুমার বিশ্বাস। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক রূপন কান্তি ধর। সর্বসম্মতিক্রমে শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরীকে সভাপতি ও প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি