জনাতঙ্কে ভুগছে সরকার

16

সরকার জনাতঙ্কে ভুগছে। জনগণের ভয়ে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় সেটাই জনাতঙ্ক। জনগণের এই ভয় জলাতঙ্ক রোগের চেয়ে ভয়াবহ। এই জনাতঙ্কের কারণেই বিএনপিকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। গতকাল রোববার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন এমন মন্তব্য করেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। সেজন্য তাকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকে সাধারণ মানুষ যে সুযোগ সুবিধা পান, তাকে সে সুযোগ সুবিধাও দেয়া হয় না। এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে সরকার পদে পদে বাধা দিচ্ছে। তাকে জামিন না দেয়াটা অমানবিক।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না দেশনেত্রীর মুক্তি হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন বলে বিএসএমইউ কর্তৃপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন। এটা ফ্যাসিবাদী শাসনের একটি রূপ। তার চিকিৎসা না হওয়ার দায়দায়িত্ব সরকার প্রধানকেই বহন করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে দিয়ে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষকে সুশাসন থেকে বঞ্চিত করছে। সরকারের দুর্নীতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেটাকে ঢাকার জন্য নিজেদের চুনোপুঁটিকে ধরতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিষ্ট সরকার। এদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, মানুষের অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে আনতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।
তিনি বলেন, তারা বলছে বিএনপি নিচিহ্ন হয়ে গেছে। আবার তারা লালদিঘির মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় না। আসলে তারা ভয়ের মধ্যে আছে। জনাতঙ্কে ভুগছে সরকার। আলমাস সিনেমার মোড়ে তাদের দুইগ্রূপ হামলা চালালেও একটি মামলা হয়নি। রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে পুরো শহরকে যানজটের মধ্যে ফেলেছে। আসলে সরকার ভীত অবস্থায় আছে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, সামশুল আলম, শাহ আলম, জহির আহমদ, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন প্রমুখ।