‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনি কঠোর অবস্থানে সরকার

91

‘গুজব’ ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই ঘটছে গণপিটুনির ঘটনা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পূর্বশত্রæতার জের ধরে অনেককে ছেলেধরা বলে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে। গত ১৫ দিনে এ ধরনের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং আহত হয়েছেন ৭০ জন।
গতকাল সোমবার একদিনেই গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন, কথিত এনজিওকর্মী, অজ্ঞান পার্টির সদস্য ও সাধারণ লোকজন। লোকজন ঘরে থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ছেলেমেয়েদের আনতেও যেতে পারছে না।
এদিকে গণপিটুনিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের সকল ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’- গোয়েবলসীয় অপপ্রচারও হার মেনেছে সা¤প্রতিক এ গুজবের কাছে। এমন গুজবে বিশ্বাসী উত্তেজিত ও আতঙ্কিত মানুষের গণপিটুনিতে হতাহত হচ্ছেন নারী-পুরুষ।
ভাইরাসের মতো এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। এতে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। প্রিয় সন্তানটি ছেলেধরার খপ্পরে পড়তে পারে-এমন ভয়ে আছেন অনেকে, আবার অনেকে আছেন ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ভয়ে। গুজবকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যক্তিগত শত্রæদের টার্গেট করতে পারে- এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
অনেকের ধারণা, সুপরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে ও সেটিকে ব্যবহার করে এবং মানুষের অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে কাজে লাগিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা অস্বাভাবিক নয়। কেউ গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে কি-না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকেও নজর রাখছে।
জানা যায়, ছেলেধরা সন্দেহে গতকাল সোমবার পাঁচ জেলায় ১৫ জন গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন, কথিত এনজিওকর্মী, অজ্ঞান পার্টির সদস্য ও সাধারণ লোকজন।
বাঁশখালী উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে দলবেঁধে পিটুনি দিয়ে তিনজনকে আহত করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার দুপুরে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সোমবার ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। আহত হাসিনা খাতুন (৬০) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে�ক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকার সাভারে ছেলেধরা সন্দেহে ভাড়াটিয়া দম্পত্তিকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আটক করে। আটককৃতরা হলেন রনি মিয়া (২৩) ও তার স্ত্রী (২০)। তাদের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার গোদাগাড়ী থানার সাহেব বাজার গ্রামে।
রাজশাহীর চারঘাটে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন পাঁচ এনজিওকর্মী। সোমবার দুপুরে উপজেলায় পুলিশ ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আটককৃতরা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামের একটি এনজিওর কর্মী দাবি করেছেন বলে চারঘাট থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন চারজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গত রবিবার রাত ও সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এসব মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ উদ্দেশ্যহীন ও সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফোরা করায় তাদের আটক করে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী।
এর আগে রবিবার একদিনেই দেশের কয়েকটি জেলায় গণপিটুনিতে আহত হয়েছে ২৪ জন। যাদের কয়েকজন মানসিক প্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া আদর্শ স্কুলের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে রবিবার রাত সোয়া ৮টায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, ৯ জুলাই থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীর বাড্ডা ও মোহাম্মদপুরে দুজন, ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুজন, সাভারে একজন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একজন, নেত্রকোনায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, পটুয়াখালীতে একজন ও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একজন নিহত হন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সারাদেশে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন। অন্যদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসেই নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। শনিবার একদিনেই ঢাকাসহ সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওইদিন সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। তিনি উত্তর বাড্ডায় স্কুলে ছেলেমেয়ের ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। এসময় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে তার উপর হামলা করা হয়। বাড্ডা থানা পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সন্দেহে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন সিরাজ নামের এক যুবক। মিজমিজিতে সাবেক স্ত্রী শামসুন্নাহারের কাছে তার শিশু সন্তান রয়েছে। শনিবার সেখানে মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলেন সিরাজ। এ সময় শামসুন্নাহার ছেলেধরা বলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই সিরাজের মৃত্যু হয়। তার বাসা সিদ্ধিরগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন। একই দিন সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে রেশমা ওরফে শারমিন নামের এক নারীকে পিটিয়ে আহত করে জনতা।
শনিবার সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকায় ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়েছিলেন। একই দিন সকালে কেরানীগঞ্জের রসুলপুরে দুই যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে স্থানীয় জনতা। এতে আহত দুই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত একজন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ মর্গে রাখা হয়। একই দিন রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের দেওড়াছড়া চা বাগানে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি মারা যান।
এর আগে গত ৯ জুলাই রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে ছেলেধরা সন্দেহে রবিউল নামের এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হন। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। গত ১৮ জুলাই নেত্রকোনা পৌরশহরের নিউটাউন পুকুরপাড় এলাকায় ব্যাগে করে এক শিশুর ছিন্ন মাথা নিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় রবিন নামের এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হন।
১২ জুলাই পটুয়াখালীর গেরাখালী গ্রামে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন দাদন মিয়া। ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একইভাবে মৃত্যু হয় এক যুবকের। শনিবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন সাতজন। ১১ জুলাই বরিশালের গৌরনদীতে গণপিটুনিতে আহত হন তরিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। ১৬ জুলাই হাটহাজারীতে গণপিটুনির শিকার হন তিনজন। ৭ জুলাই ল²ীপুরে একই কারণে গণপিটুনির শিকার হন এক বৃদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, ছেলেধরা গুজব মানুষকে আতঙ্কিত করে, আবেগকে আক্রান্ত করে। মানুষ যখন আতঙ্কিত হয়, তখন ছোটখাটো ইস্যুতেও সন্দেহ বাড়ে। কারণ মনস্তাত্তিকভাবে সে সন্দেহপ্রবণ হয়ে মনগড়া ধারণায় আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে- ছেলেধরা, বাচ্চা ধরার জন্য আসছে, মাথা নিতে আসছে। ব্রিজ তৈরিতে মাথা লাগে- এমন কুসংস্কার থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে হবে।
ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, যারা গণপিটুনিতে জড়াচ্ছে, তারা ভয়ঙ্কর সামাজিক অপরাধ করছে। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের মৃত্যুদÐ হওয়া উচিত। সভ্য সমাজে এ ধরনের বর্বরতা মেনে নেওয়া যায় না।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এর আগেও দেশে গুজব ছড়িয়ে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের মার্চে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘চাঁদে দেখা গেছে’ বলে গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নৈরাজ্য তৈরি করা হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে রামুর বৌদ্ধমন্দির, নাসিরনগর ও রংপুরে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন’ চলার সময়ও বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়। এসবের আগে ২০১১ সালে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা পূর্বদেশকে বলেন, একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ ধরনের গুজব ও গণপিটুনি অপরাধ। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। প্রতিটি এলাকায় পুরিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যারাই করুক না কেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। কাউকেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে দেয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ালেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ‘পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ গুজব কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণপিটুনিতে একের পর এক হত্যাকাÐের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গুজব প্রতিরোধে পুলিশের সব ইউনিট প্রধান ও জেলা পুলিশ সুপারদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা সংক্রান্ত পোস্ট বা মন্তব্য ছাড়ানোদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, গুজব ঠেকাতে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করার কথাও বলা হয়েছে।
সোমবার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-অপারেশন্স) সাঈদ তারিকুল হাসান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে দেশব্যাপী পুলিশের সব ইউনিটকে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, স্কুলে অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়, ছুটির পর অভিবাবকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুল ত্যাগের বিষয়টি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন করা।
জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি এলাকায় ছেলেধরার গুজবে কান না দিতে এবং পুলিশকে তাৎক্ষণিক তথ্য জানানোর জন্য মাইকিং করা, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এলাকার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, জনসাধারণদের নিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা, প্রতিদিন মসজিদে এ সংক্রান্ত বক্তব্য দেওয়ার ব্যবস্থা এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের বস্তিতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনিটরিংয়ের বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, বøগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া গুজবে কান দিয়ে ছেলেধরা বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইউনিট প্রধান নিজ নিজ এলাকায় গৃহীত আইনানুগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে একটি গুজব ছড়ানো কেন্দ্র করে স¤প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুজব বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।