ছিনতাইয়ের ১৬০ মোবাইল সেটসহ ৫ জন আটক

41

মোবাইল ফোন ছিনতাইয় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা ১৬০টি মোবাইল সেট। রোববার লাভলেইন এলাকা থেকে মো. নজরুল ইসলাম (৫০) নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারে তিনটা দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব মোবাইল সেট উদ্ধারা ও সিন্ডিকেটের বাকি চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, আটক মো. নজরুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে আলিফ ইলেকট্রনিক্সের মালিক মোহাম্মদ মানিকের দোকান থেকে ৭৩টি, খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন এনকে মোবাইল নামক দোকান থেকে ৬৫টি এবং পলাতক আসামি মো. খোরশেদ আলমের মাদার টাচ নামক মোবাইল দোকান থেকে ২২টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। অভিযানে আলিফ ইলেকট্রনিক্স ও এনকে মোবাইলের মালিককে আটক করা হলেও কৌশলে পালিয়ে যায় মাদার টাচ দোকানের মালিক খোরশেদ আলম (৩৫)। তবে পুলিশ দোকানটির কর্মচারী সাহেদুল ইসলামকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাউজানের আবু তালেবের বাডির মৃত দেলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মানিক (৫৪), সাতকানিয়ার কবির আহাম্মদের বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৩১), লোহাগাড়ার আমিরাবাদ বলির বাড়ির হারুনুর রশিদের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (২৪) এবং কুমিল্লা জেলার হামিদ আলী প্রধানের বাড়ির মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল রানা (৩০)। পালাতক মো. খোরশেদ আলম রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা রুহুল আমিন সওদাগরের বাড়ির হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন চোর ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে অধিক মুনাফায় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের আলিফ ইলেকট্রনিক্স, এনকে মোবাইল ও মাদার টাচ। মোবাইল চুরি বা ছিনতাই করার পর চোর ও ছিনতাইকারীরা এসব দোকান ছাড়া অন্য কোথাও বিক্রি করতে পারতেন না। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মানিক ও পলাতক মো. খোরশেদ আলম আপন মামা-ভাগিনা। তারা উভয়ে আলোচিত রিয়াজউদ্দিন বাজারের চোরাই মোবাইল ক্রয়কারী র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত জাহিদুল ইসলাম আলো’র অন্যতম সহযোগী। আলোর মৃত্যুর পর চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেট তারা মামা-ভাগিনা নিয়ন্ত্রণ করেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, লাভলেন মোড় থেকে ছিনতাইকারী মো. নজরুল ইসলামকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই মোবাইলসহ বাকি ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।