ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ৬, আটক ৪

73

আগের শত্রুতার জের ধরে ফের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪ জনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়ানো দুই গ্রুপ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘সিএফসি’ ও ‘বিজয়’।
আহতরা হলেন- ইংরেজী বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল, সমাজতত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান হাসান, একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আব্দুস সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ওসমান ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রহমত উল্লাহ। এসময় পুলিশ ৫টি রামদা উদ্ধার করেছে। সংঘর্ষের সময় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রায় ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের
সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হলের পাশের একটি দোকানে সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সিএফসি নেতা সোয়েবুর রহমান কনক বিজয় গ্রুপের কর্মী কাকনকে মারধর করেন। পরবর্তীতে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে সেটি মীমাংসা হলেও রাত সাড়ে দশটার দিকে কনক ও আখলাছ সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে আসলে বিজয়ের কর্মীরা তাদের মারধর করে এবং আখলাছের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় সিএফসির নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হল ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীতে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এসময় ৫ টি রাম দা ও ৪ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় কয়েকজন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মহসিন কলেজে দুই গ্রুপে হাতাহাতি :
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালাকালীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমানের অনুসারীরা সালাহ উদ্দিনের অনুসারী ইমাদ উদ্দিনকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের অনুসারীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, কলেজ মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুইটি পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকেই সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান তিনি।