ছাত্রদের দাবি পূরণ করছে অন্তর্বর্তী পরিচালনা কমিটি

23

হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র আন্দোলনের দাবি পূরণ করতে শুরু করেছে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী পরিচালনা কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও চারজনকে পুনর্বহাল করা করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রধান সহযোগী পরিচালক মুফতি আব্দুচ্ছালাম চাঁটগামীর কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য (সহযোগী পরিচালক) ও মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা ইয়াহ্ইয়া।
সূত্র জানায়, ছাত্ররা মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষককে অব্যাহতি ও কয়েকজনকে পুনর্বহাল করাসহ ৬ দফা দাবি দিয়েছিল। এসব দাবি পর্যালোচনা করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়। এরা হলেন মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি ওসমান ও মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজ। এছাড়া পুনর্বহাল হলেন শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার শাহ আজহারী, মাওলানা সাঈদ আহমদ এবং মাওলানা মুফতি হাসান (শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা) ও মাওলানা মনসুর (হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা)।
করোনাকালীন মাদ্রাসা বন্ধের সময় সদ্য প্রয়াত মাদ্রাসাটির সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানীর (সহকারী শিক্ষা পরিচালক) পক্ষে সমর্থন বৃদ্ধি করতে তার বড় ভাই মাওলানা ইউছুফের ছেলে মাওলানা ফয়সাল ও বন্ধু মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি ওসমানকে তৎ সময় নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ দেয়। এছাড়া তাদের পারিবারিক ঘনিষ্ট মাওলানা বেদারের পুত্র মাওলানা তকি উদ্দিন আজিজকে একই কায়দায় নিয়োগ প্রদান করে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট নানা কাজে একমত পোষণ না করায় মাওলানা আনাস মাদানীর পরামর্শে আল্লামা আহমদ শফী পুনর্বহালকৃত ওই চারজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
গতকাল বুধবার বিকালে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দফায় দফায় বৈঠক করছি। মাদ্রাসার ঐতিহ্য তথা শিক্ষার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে বিগত সময়ে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেয়া দক্ষ চারজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর মধ্যে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া দুজনকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছে।