ছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার ৫ মাস পর লাশ উত্তোলন

26

চকরিয়ায় জাহেদুল ইসলাম রায়হান নামে এক কলেজ ছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার ৫ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের দীঘিরপাড় এলাকা থেকে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরফাতের নেতৃত্বে চকরিয়া থানা পুলিশ কবর থেকে রায়হানের লাশ উত্তোলন করেন। গত বছরের ৫ নভেম্বর গভীর রাতে রায়হানকে তার পিতার মুদির দোকানে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রায়হানের পিতা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুচ বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের এসএমচর এলাকার বাসিন্দা ও নিহত জাহেদুল ইসলাম রায়হানের পিতা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, এ ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই এলাকার গোলাম কাদেরের পুত্র গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত গত বছরের ৫ নভেম্বর গভীর রাতে দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমার ছেলে জাহেদুল ইসলাম রায়হানকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি একজন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অবশেষে আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে পুলিশ কবর থেকে রায়হানের মরদেহটি উত্তোলন করে। এ সময় চকরিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত জাহেদুল ইসলাম রায়হানের পিতা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুচ আরও বলেন, আদালতে মামলা করায় দুর্বৃত্তরা গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমার দোকানঘরটি গুড়িয়ে দিয়েছে।