চোরচক্রের ৯ গ্রুপের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার

52

আন্তঃজেলা চোর গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৫০। তারা নয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে চুরি করে। এর মধ্যে ১১ জনকে নগরীর একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ১২ বছর ধরে চুরি করে আসছে।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, এরা একটি আন্তঃবিভাগীয় চক্র। তাদের কাছ থেকে দুটি এলজি ও চারটি কার্তুজ এবং দোকানের শাটার ভাঙার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
শনিবার রাতে লালদিঘীর পাড় এলাকার ‘তুনার্র্জ্জিন’ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হানিফ ওরফে হাতপোড়া হানিফ (৩৮), কামাল হোসেন (২৮), লিয়াকত হোসেন (২৪),
আকরাম ওরফে আরমান ওরফে সাগর (২৩), মো. তৌফিক (২৬), মো. মিজান (২৫০, মাসুম (২৬), নয়ন মল্লিক (২২), মিলন (২৫), জামাল উদ্দিন (৩০) ও কামাল ওরফে ভুষি কামাল (৩২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেলায় জেলায় চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ‘স্বীকার করেছে’ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উপ-কমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, এদের দলনেতা হানিফ। তার অধীনে ৯-১০টি ছোট গ্রæপে মোট ৫০ জন সদস্য আছে। অন্য জেলাগুলোতে আমরা এ বিষয়ে তথ্য জানিয়েছি। এই চক্রটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাতের বেলা শাটার ভেঙে চুরির সঙ্গে জড়িত। বাধা পেলে ব্যবহার করার জন্য তারা সঙ্গে অস্ত্র রাখে।
এই চক্রের সদস্যরাই গত জুন ও ফেব্রুয়ারিতে নগরীর দুটি দোকান থেকে যথাক্রমে পৌনে দুই লাখ ও ১২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হানিফ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শো-রুম, বড় কাপড়ের বা মুদি দোকান, বিপণন অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ‘টার্গেট’ করতো। এরপর চক্রের আরেকজন সেই প্রতিষ্ঠানটি ‘রেকি’ করে আসতো। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হত কতজন এই চুরিতে অংশ নেবে।
পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার সবার স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা জেলায়। তাদের মধ্যে হানিফ বর্তমানে নগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার ধোপাপাড়া এলাকায় থাকতেন। আর কামাল থাকতেন ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দরবার গলি এলাকায়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। পুরো চক্রের সব সদস্যকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানো হবে।