চেয়ারে বসলে বোঝা যায় দায়িত্ব কত কঠিন

51

বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সড়কে একেক সময় খোঁড়াখুঁড়ির মধ্যেও জনভোগান্তি কমিয়ে আনতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে দাবি করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চেয়ারে বসলে বুঝা যায় দায়িত্ব পালন কত কঠিন।
দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় চার বছর পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের মিলনায়তনে চট্টগ্রামে কর্মরত গণমাধ্যমের কর্মীদের সৌজন্যে ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের
তিনি বলেন, “এই চট্টগ্রামে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর খেকে অনেক সেবাধর্মী সরকারি সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। তারা রাস্তা ব্যবহার করেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তাগুলো টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত দুরূহ। আমার চেষ্টা করে যাচ্ছি জনভোগান্তি কতটুকু কমিয়ে আনা যায়।
তিনি বলেন, বলা যত সহজ, করা তত কঠিন। আলাদা আলাদা সেবাধর্মী সংস্থা। তাদের একই রাস্তা একাধিকবার কাটতে হয়েছে। দেখা যায়, কোনো কোনো ত্রুটির কারণে একই রাস্তা একাধিকবার কাটতে হয়েছে। এভাবে করতে করতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মানুষের কষ্ট কমাতে আমরা সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, “তিন দিন আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের লোকজন এসে বলল তাদের লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। না দিয়ে তো উপায় নেই। এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ। চেয়ারে বসলে বুঝা যায় দায়িত্ব পালন কত কঠিন। এসব প্রকল্প একনেক অনুমোদিত। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিয়েছেন। তারা কাজ করতে চাইলে তো দিতেই হবে।
তিনি বলেন, “পিসি রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কে সার্ভিস লাইন শিফট করতে হয়েছে। নালা ছিল না, নতুন নালা করতে হয়েছে। একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। জনগণ এসব বিষয়ে অতটা সচেতন নয়। আপনাদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পেলে তাদের সচেতনতার স্তর বাড়বে।”
সিটি করপোরেশনের জনবল সংকট ও লোকবল নিয়োগে বাধার বিষয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আমরা ১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রাম এখনো বাস্তবায়ন করতে পারছি না। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল নিয়োগবিধি অনুমোদনসাপেক্ষে লোক নিয়োগ করতে হবে। তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল। তারা অনেক আগেই বিভিন্ন স্থানে বদলি হয়ে চলে গেছেন। তাই আগের মেয়ররাও এখানে বৈধভাবে লোক নিয়োগ দিতে পারেননি। এর প্রভাব সিসিসিতে পড়েছে। অনেকটা মেধাশূন্য হয়ে পড়ার মত।
তিনি বলেন, আগের মেয়র পাঁচ বছরে ৯০০ কোটি টাকার কাজ করেছেন। এই মেয়াদে ইতিমধ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হয়েছে। অনেকে অবসরে চলে গেছেন। কাজের পরিধি ও ধরণ অনেক বদলেছে। জনবল কমে গেছে। এটা হলো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ।
ইফতার মাহফিলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসিনসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।