চেরাগীর নেভানো আলো

65

অনুভবের গহীনে শাহজালালের রূপসী কৈতর!
তোমারে শব্দের সুতোয় আর কতটুকু বাঁধি?
তুমিতো পক্ষি হয়ে উড়ে গেলা কলমীর ধারে
একা একা ঘুরি ফিরি খুদ পানি খোঁজে আড়ালে।
চেরাগে আলো জ্বেলে হাঁটতে থাকে শাহ বদর,
মাঝখানে কদম রাসুল- গভীর শান- পাত্থরে পাত্থর।
ঊমেদ খা ভেতর কিল্লা’র রেখে যায় বিজয়ী খঞ্জর,
আন্দরকিল্লার নীচে বয়ে যায় জাগতিক জ্ঞান-নহর।

বছর বছর শুধু হাঁটতেই থাকি,
ভাসাতেই থাকি জাগতিক বহর;
ভাসতে থাকি সিলসিলার মুসাফির নাদান কৈতর।
বদর পট্টি শোক তোলে-
হায় ইনসান… হায় ইনসান…
তুমি আমি ভুলে ভুলে চলে যায় ঊনত্রিশ রমজান
চাটিগা’র শোকের ক্বাসিদা জ্বলে অন্তরের ভেতর।

কোথায় গেলো মাহি আছোয়ার রক্ত?
কদল খান গাজী, হাজী খলিলের খ-লি-ল ধারা?
মোল্লা মৌলবী আজ মৌ-লোভী শুধু কোর্তা ওয়ালা;
কেবল খোঁজ মাংসের ফালু আর আলু,
সরুভাতে কাড়া নাকাড়া ।

ভুলেছে রাসুল-সুন্নাহ-দা’য়ী-সত্ব ধারা?
হায় রাসুল… হায় রাসুল… জিকিরে সারা,
এ কী শুধু জিকির- ফিকির… ফিকির…
জিকিরের লাহান শোনায় তাহা।
বাড়ে শাহ বদরের পাশে শাহ আমানতের রৌশনাই,
ওরশের ডেক বাড়ে, বাড়ে না চৈতন্য- হুশ নাই।

চাটির চেরাগে আলোতো বাড়ে না,
চেরাগী আলোয় মশা মাছি উড়ে,
ভনভন গন্ধ ছড়ায় মেথর পট্টীর রসালো,
আলোতো জ্বলে না, আলোতো জ্বলে না।

নিয়নের আলোয় সুবোধ তাড়ালে-
সাধুর মিষ্টি চলে কচুরির মিলালে,
মুদ্রায় মুদ্রায় চলে মুদ্রালয় চালে,
কেউ আজ বদর বদর বলে জিকির তোলে না।

চেরাগের আলো নিভে গেছে বহু আগে
মিডিয়ায় আলো আসে স্বার্থের সুযোগে ;
এখন চেরাগীর সেই আলো জ্বলজ্বল করে না।
কেউ বদর…বদর… ডাকে না, চেরাগ জ্বলে না।