চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবার ১ মার্চ

44

এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ মার্চ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা রোববার কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে এদিন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
নতুন ভোটাররা সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমাদের ভোটার তালিকাই হবে ৩১ জানুয়ারির পরে (চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ)। এবার আমরা আইন করে (ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়টি) মার্চের ১ তারিখে নিয়ে যাব।
সেক্ষেত্রে বিদ্যমান তালিকা অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। নতুন যারা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন তারা এ নির্বাচনে ভোট দেতে পারবেন না।
হালনাগাদের পর প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হচ্ছিল এতদিন।
বিদ্যমান আইনে সংশোধন করে এখন থেকে ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করছে কমিশন।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সময় তো ঘনিয়ে এসেছে। খসড়া প্রকাশের বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা যায়নি। ১ মার্চ তালিকা প্রকাশে আইন সংশোধন হলেই অন্য তারিখগুলো নির্ধারণ করা হবে।
ভোটার তালিকা আইনে বলা রয়েছে, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি ভোটার তালিকা এভাবে হালনাগাদ করা না হয় তাহলে এর বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হবে না।
ইসি এখন ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি দাবি, ১ ফেব্রূয়ারি থেকে ৭ ফেব্রূয়ারি দাবি নিষ্পত্তি, ৮ ফেব্রূয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রূয়ারি সিডি প্রস্তুত এবং ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করছে।
স্বল্প সময়ে খসড়া প্রকাশ নিয়ে ইসি সচিবালয়েরও সংশয় রয়েছে। এরই মধ্যে আইন সংশোধন না হলে জটিলতার শঙ্কাও করা হচ্ছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, হালনাগাদের চূড়ান্ত তালিকা ১ মার্চ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এরপর খসড়া তালিকার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অধ্যাদেশ আকারে সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের
এবার সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। পনের থেকে আঠার বছর বয়সী (২০০১-২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম ) এসব নাগরিকের ছবি, চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপসহ নিবন্ধন কাজ নভেম্বরে শেষ হয়।
২০২০ থেকে ২০২২ সালে পর্যায়ক্রমে এদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সে হিসাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অন্তত সোয়া ১১ কোটি ভোটার থাকবে, যেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো।