চূড়ান্ত আইনি লড়াইয়েও জিতে গেলেন আসিয়া

29

পাকিস্তানে খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবিকে ব্লাসফেমির অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার রায় বহাল রেখেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। ২৯ জানুয়ারি আসিয়ার খালাস পাওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কট্টরপন্থীদের করা আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি আসিফ সাঈদ এদিন আদালতে বলেন, ‘যৌক্তিকতার বিচারে এ আবেদনটি খারিজ করা হলো।’ খালাসের রায় বহাল থাকায় এখন চাইলে পাকিস্তান ছেড়ে যেকোনও দেশে যেতে পারবেন আসিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। ৪৭ বছর বয়সী খামার শ্রমিক আসিয়া তিন সন্তানের জননী। ২০০৯ সালে খামারে কাজ করার সময় এক গরমের দিনে মুসলিম শ্রমিকদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে পানি খাওয়ায় তার মুসলিম সহকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা দাবি করে, আসিয়া যেহেতু মুসলিম নন, সেক্ষেত্রে গ্লাসটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে, সেটি ব্যবহার করা যাবে না। আসিয়াকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার দাবি জানায় তারা। তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন আসিয়া। সে সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে মুসলিম শ্রমিকরা দাবি করে, আসিয়া বিবি নবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন।
আসিয়া বিবি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ২০১০ সালে পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনে দেশটির প্রথম নারী হিসেবে আসিয়াকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছিলো। দীর্ঘ বিলম্বের পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর আসিয়া বিবিকে খালাস দেন আদালত। আসিয়ার খালাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিল কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার সে পিটিশনটি খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।