চুরি ঠেকাতে সুপারী গাছে টং ঘর

240

চলছে সুপারীর ভরা মৌসুম। কক্সবাজার জেলার অর্থকরী ফসলের মধ্যে সুপারী অন্যতম। কিন্তু চোরের হাত থেকে সুপারী রক্ষা করা অনেক কঠিন। তাই মালিকরা বাগানের সুপারী রক্ষায় নেন বিভিন্ন উদ্যোগ। এরমধ্যে অন্যতম হলো রাত জেগে বাগান পাহারা এবং গাছের ১৫/২০ ফুট উচ্চতায় কাঁটা জাতীয় গাছ বেঁধে দেয়া। রাতে পাহারা দেয়ার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় সুপারী গাছের উপর টং ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের মৌজিমেরদ্বীপ এলাকার কয়েকটি সুপারী বাগানে গাছের উপর টং ঘর নির্মাণ করে বাগান পাহারা দিতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার সুপারী চাষি মোস্তাক আহমদ জানান, প্রতিবছর তার বাগান থেকে বিপুল পরিমাণ সুপারী চুরি হতো। তাই কয়েকবছর ধরে তিনি সুপারী গাছের উপর টং নির্মাণ করে বাগান পাহারা দিয়ে আসছেন। এখন বাগানে চোরের উপদ্রব কমে গেছে। রাতে টংয়ে বসেই টর্চের আলোয় তিনি পুরো বাগান সহজে পাহারা দিতে পারেন। মোস্তাক আহমদ আরো জানান, তিনি প্রায় ২ একর জমিতে সুপারী চাষ করেছেন। এবার চোরের উপদ্রব না থাকায় এবং সুপারীর ফলন ভালো হওয়ায় অতীতের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন।
উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরীপাড়া দিঘীর বিল এলাকার সুপারী চাষি শামসুল আলম, শহর মুল্লুক ও আবদুল আজিজ কালু জানান, সুপারী চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তারা বাগানে টং ঘর তৈরি করে রাত্রিকালীন পাহারা দিয়ে আসছেন। টং থেকে পুরো বাগান পর্যবেক্ষণ সহজ হয়। ফলে চোরের দল সহজে হানা দিতে পারে না।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সুপারীর মৌসুমে গ্রামের বখাটে, মাদকাসক্ত, পেশাদার চোরেরা বাগানে বাগানে হানা দিয়ে সুপারী চুরি শুরু করে। সুপারী চুরিকে কেন্দ্র বিভিন্ন এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। গত ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকায় রাশেদ উল্লাহর বাগানে সুপারী চুরি করতে গিয়ে রিয়াদ প্রকাশ ভুতাইয়া নামের এক চোর গাছ ভেঙ্গে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অব্যাহত চুরি ঠেকাতে সুপারী চাষিদের কাছে টং দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জায়নুবা হাসান শিরিন জানান, অনেক সুপারী বাগানে তিনি পাহারা দেয়ার জন্য গাছের উপরে টং দেখেছেন। এসব টং দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি বাগানের পরিবেশও দর্শনীয় করে তোলে। রামু প্রতিনিধি