চীন-ভারত উত্তেজনা : প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

77

ওমর ফারুক চৌধুরী জীবন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধু। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু যাত্রাবিরতি করলেন দিল্লিতে। দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে সব প্রটোকল ভেঙে ছুটে এসেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি আর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেখানে সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে ভারতবর্ষের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর কাছে জানতে চাইলেন, ‘আপনি কবে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করবেন।’ প্রত্যুত্তরে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মহানুভবতার স্বরে বলেছিলেন, ‘আপনি যেদিন চাইবেন।’ তাহলে আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই হোক। তা-ই হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি অল্প দিনের মধ্যেই ভারতীয় সৈন্যদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞায় ও বিচক্ষণতায় ভারতীয়রা এইদেশে জেঁকে বসতে পারেনি।
১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তাজউদ্দীন আহমেদ বলেছিলেন- ‘এটা আমাদের যুদ্ধ। আমরা চাই ভারত এতে জড়াবে না। আমরা চাই না ভারত তার সৈন্য দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে আমাদের স্বাধীন করে দিক। এই স্বাধীনতার লড়াই আমাদের নিজেদের এবং আমরা এটা নিজেরাই করতে চাই।’ তাহলে দেখুন, এমন সময়েও বিচক্ষণ তাজউদ্দীন আহমেদ দেশের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে কতটা সচেতন ও সজাগ ছিলেন। অথচ তখনো বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বীকৃত অভ‚্যদয় ঘটেনি। এখনো মিত্র বাহিনী বিভিন্ন দেশে দেশে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। তাঁদের একচুল পরিমাণ সরানো যাচ্ছে না। ব্যতিক্রম কেবল বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তখনো মার্কিনীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এখনো সেটা নানানভাবে অব্যাহত আছে।
ব্রিটিশরা চলে গেলেও, মার্কিনিদের দাপট পৃথিবীব্যাপী চলছে। নানানভাবে তারা বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাকগলাতে সর্বদা তৎপর থাকে। পরাশক্তি গুলোও একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নিত্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া জানান দিচ্ছে তাঁদের শক্তির সামর্থ। এশিয়ায় বৃহত্তর জনগোষ্টির দেশ ভারতও পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। ইতিমধ্যে এশিয়া অঞ্চলে মোড়ল কে হবে, সেটা নিয়ে চলছে ভারত-চীনের মধ্যে মনস্তাত্তি¡ক দ্বন্দ। চলছে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আপ্রাণ লড়াই। সেকারণেই ভারত ও চীন উপয়েই প্রতিবেশি দেশগুলোকে যেকোন মূল্যে পাশে পেতে চাইবে।
বেশ কদিন ধরেই লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই ৯৭ ভাগ পণ্যে বাংলাদেশকে চীন বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার ঘোষণাটি এসেছে। বিশেষ মুহ‚র্তে এই ঘোষণা এসেছে বলেই এ ঘটনাকে চীন বাংলাদেশকে কাছে টানতেই পদক্ষেপটি নিয়েছে বলে ভারতীয় গনমাধ্যমে এসেছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বর্তমান বাংলাদেশ-চীন (পড়ুন আওয়ামী লীগ সরকার-চীন) সম্পর্ক যতই উন্নতি হচ্ছে পক্ষান্তরে ভারত ততই অস্বস্থিতে পড়ছে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ইকোনোমিক্যালি উন্নত হওয়া মানেই দিল্লীর মাথা ব্যাথার কারণ হবে এইটা স্বাভাবিক। কারণ কোন ধরনের উদ্দেশ্য ছাড়া চীন পৃথিবীর কোন দেশে এক পয়সাও খরচ করেনা।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বিষয়টি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে শিরোনামে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করেছে। এধরণের শব্দ ব্যবহার করে শিরোনাম করার বিষয়ে অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই। বরং এতে বাংলাদেশ চীন সম্পর্ক যে ভারতের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে সেটা স্পষ্ট করেছে। যদিও সেটা ভারতের সরকারী কোন বিবৃতি নয়। আনন্দবাজার পত্রিকা নয়া দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেনা। সরকারি মুখপত্রও নয়। কলকাতার একটি পত্রিকা কি লিখল না লিখল, তাতে বাংলাদেশ সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া দেখানোটাও উচিৎ নয় বলে মনে করি।
এই নিয়ে সরকারের বিপক্ষ ঘরনার কেউ কেউ চরম আপত্তি তুলেছেন। নানান ভাবে ‘খয়রাতি’ শব্দের সমালোচনা করছেন। ব্যাপারটা সত্যি আপত্তিকর। তা হবে না কেন? কারন, ভারতের পত্রিকা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের সমান। ২০১৮ সালের মার্চে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলার। সাথে সাথে দেশে ব্যবসার পরিবেশে হয়েছে উন্নতি। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচক বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে আট ধাপ উন্নতি করে ১৬৮ তম অবস্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে সেটা আরও উন্নতির আশা আছে সরকারের। ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যসীমা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। পরিকল্পিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিটেন্সের সুবাদে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতোমধ্যে ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পে লাখ লাখ নারীর কর্মসৃজন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে। বিদ্যুত উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যে ৭.৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ২০২৪ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে ধাবমান বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ শতাংশ অতিক্রম করা। তাহলে ২০২০ সালে এসে বাংলাদেশকে ‘খয়রাতি’ দেশ বলে আখ্যায়িত করার সুযোগ কোথায়? এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের কৃতিত্ব অবশ্যই দিতে হবে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হল; এতদিন বাংলাদেশের যে সকল রাজনৈতিকধারা চীন-পাকিস্তান পন্থা অবলম্বন করে এসেছেন। তাঁদের প্রতি অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চীন এখন আওয়ামী সরকারকে অর্থাৎ বাংলাদেশকে দু’হাত ভরে দিচ্ছে। ফলে চীন এখন বাংলাদেশের টপ ট্রেডিং পার্টনার।
বাংলাদেশকে চীন প্রদত্ত বিশেষ সুবিধা অর্থাৎ যাকে আনন্দবাজার পত্রিকায় আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘খয়রাতি’ শব্দে সেই সুবিধাটি আসলে কি? সেটা হল- স্বল্প আয়ের দেশের বিশেষ সুবিধায় বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা। যেটা পেতে প্রায় ছয় বছর ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেইড অ্যাগ্রিমেন্টের (আপটা) অধীনে পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা। এ ন্যায্য পাওনাটাই চীন এই সময়ে এসে ঘোষণা করেছে।
তাহলে এতে ভারতের কেন মাথা ব্যাথার কারণ হবে? এই রিজিয়নে সম্ভবত বর্তমানে ভারতের কোন বন্ধু নেই। শ্রীলঙ্কা, নেপাল এরা দূরে সরে গেছে। পাকিস্তানের সাথে আজন্ম বৈরিতা। কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা আরো বেড়েছে। পাকিস্তান-মায়ানমার-চীন একই মায়ের তিন সন্তানের মত। বাকি আছে কেবল বাংলাদেশ। চীন ও ভারত উভয়েই চায় সাব-কন্টিনেন্টে রাজত্ব ধরে করতে। তাই চীনের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে উদীয়মান বাংলাদেশ। সেটাই আসলে ভারতের মূল সমস্যার কারণ। পাশাপাশি মায়ানমারে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক পরিমাণে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে চীন। একদিকে পাকিস্তান, মায়ানমার, চীন অপরদিকে বাংলাদেশও যদি চায়না বøকে চলে যায় তাহলে ভারতের মাথা ব্যাথা তো হবেই। তবে দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তা করলে সেটা বাংলাদেশেরও সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রেখেছে চীন।
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশে চীন সম্পর্কের উন্নতিতে ভারত এতই যদি অসন্তুষ্ট হয় তাহলে, প্রতিবেশি ও অপেক্ষাকৃত নিরূপদ্রব রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে ছোটখাট বিষয়ে বিশেষ ছাড় দিয়ে বা ন্যায্য হিস্যা প্রদান করে সন্তুষ্ট রাখা উচিৎ ছিল ভারতের। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতিগুলো পূরণ করা উচিৎ ছিল ভারতের। সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ ও তিস্তার পানি সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসা উচিৎ ছিল। এইসব ছোটখাট বিষয়গুলো ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত তেমন কোন মতপার্থক্য নেই বললেই চলে। ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণে ভারতের সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্কটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও কেন ভারত পারল না বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন আদায় করতে। যেখানে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মত বিষয় সম্পর্কিত। এক্ষেত্রে ভারত কি ব্যর্থ নয়? প্রশ্ন রইল।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো এবং ঢাকা উত্তরসহ কয়েকটি শহরকে চীনের উন্নত শহরের মত করে গড়ে তুলতে চাইছে চীন। এমনকি ডেঙ্গু এবং অন্যান্য মহামারী রোধেও তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। কিন্তু শর্ত হলো, বাংলাদেশকে চীনের সিস্টার সিটি ক‚টনীতি মানতে হবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশ যদি চীনের নির্দিষ্ট কিছু শহরের সঙ্গে সিস্টার সিটি এলায়েন্স বা জোট নগরী গড়ে তুলতে সম্মত হয়, তাহলে তারা ঐ সহায়তা পাবে। এবং একে বন্ধুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে তারা বাংলাদেশে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী দেশ। অবশ্য একইসঙ্গে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, চীনা এসকল উদ্যোগের নেপথ্যে আসলে তাদের আসল উদ্দেশ্য কি?
অনেকেই হয়ত ভেবে বসে আছেন, বাংলাদেশ একেবারে অবুজ শিশু যে হাতে মোয়া তুলে দিলেই চীনের কোলে চড়ে যাবে! যে যতই কিছু বলুক, জিও পলিটিক্সে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাস্টার প্লেয়ার। তার ধারে কাছেও বর্তমানে কেউ নাই। শেখ হাসিনাই পারে যেকোন পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে। উল্টো ভারত-চীন প্রতিযোগিতার সুযোগ নিতে চাইছে বাংলাদেশ। যেকোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। পররাষ্ট্র নীতিতে আমাদের শক্তি ও সঙ্কটগুলো যেমন- রোহিঙ্গা ইস্যু, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় নীতি গ্রহণ করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি কি হবে সেটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ। অন্যদেশের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব বাংলাদেশ নিবে কেন? বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থ দেখবে প্রথমে। বাংলাদেশ কেন কারো পক্ষ নিবে। কেন কারো বøকে যাবে? তাদের প্রয়োজনে আমাদের বøকে আসবে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজকে এই চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত বন্যা কারো তাবেদারী করার জন্যে বয়ে যায় নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতি এখনো সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়।’ এই নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব রেখে ভারসাম্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছুতে হলে, সুপরিকল্পিত ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির বিকল্প নেই।
লেখক: কলামিস্ট, সংগঠক