চীন থেকে ৪২ টনের জায়গায় এল ২৫০ কেজি

30

চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা দুইটি কনটেইনারে ৪২ টন কপার ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ বা তামার তার আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ২৫০ কেজি। বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে একটি ও বিকেলে একটি কনটেইনার খোলার পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ধরা পড়ে। চালানগুলোর বিষয়ে আগেই গোপন সংবাদ ছিলো গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মেহেদিবাগের আমিরবাগ এলাকার ওয়েন্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুইটি কনটেইনার খোলার পর পাওয়া গেছে মাত্র ২৫০ কেজি তামার তার। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলো চৌমুহনীর জাহান চেম্বারের মাল্টি ভিউ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম জানান, জেটি কাস্টমসের কর্মকর্তারা চালানটি খালাস পর্যায়ে পরীক্ষার সময় একটি কনটেইনারে মাত্র ১২৫ কেজি, অপরটিতে ১২৭ কেজি ঘোষিত পণ্য পেয়েছে। এটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণাও হতে পারে। কারণ দুই কনটেইনার স্ক্র্যাপের মূল্য খুব বেশি হবে না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, এখনি মানি লন্ডারিং হয়েছে বলতে পারবো না। দেখতে হবে এলসির পেমেন্ট হয়েছে কিনা। আবার রপ্তানিকারকের ভুলে কিংবা প্রতারণার ঘটনা ঘটলে অনেক সময় তারা টাকা ফেরত দেন বা পুনঃরপ্তানি করেন। গত মাসে তৈরি পোশাক শিল্পের একটি চালানে বালিভর্তি কনটেইনার পাঠিয়েছিল রপ্তানিকারক। পরে প্রপার চ্যানেলে চাপ প্রয়োগের পর তারা টাকা ফেরত দিয়েছিল।