চীনে ইতিহাসের সর্বনিম্ন জন্মহার

37

৭০ বছর আগে ‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না’ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে গতবছর দেশটিতে এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন জন্মহার দেখা গেছে। সোমবার চীন সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এ তথ্য। এতে দেশটিতে দম্পতিদের একাধিক সন্তান নিতে উৎসাহিত করার সরকারি কর্মসূচির ব্যর্থতাই ফুটে উঠেছে।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৪৯ সালের পর থেকে গতবছর দেশটিতে জন্মহার হাজারে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৯৪- তে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ২০১৭ সালে এ হার ছিল হাজারে ১২ দশমিক ৪৩। ২০১৮ সালে চীনে দেড় কোটির বেশি শিশু জন্ম নিলেও এ সংখ্যা ছিল তার আগের বছরের তুলনায় ২০ লাখ কম। তাছাড়া, ১৯৬০ এর দশকে চীনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পরও বর্তমান সময়েই দেশটিতে শিশু জন্মহার সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। চীন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল। পরে ২০১৬ সালে দেশটি এ থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে শহুরে দম্পতিদের জন্য দুই সন্তান নীতি চালু করে। সে সময় চীনে কম শিশু জন্মহার ও বয়স্ক মানুষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নীতিনির্ধারকরা এ পদক্ষেপ নেন। চলতি মাসে চীনের সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটিতে জনসংখ্যা ২০২৭ সাল আসতে না আসতেই কমা শুরু করতে পারে। চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো জন্মহার কমার কারণ কি তা জানায়নি। তবে গত তিন দশকের মধ্যে গতবছরই চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল সর্বনিম্নে।