‘চীনা নয়, মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গুগল’

37

চীনা সেনাবাহিনী নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছেই টেক জায়ান্ট গুগল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর এ দাবি করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে গুগল সম্পর্কে পূর্ববর্তী অভিযোগ থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রাম্প। তবে গুগলের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের খবর নিশ্চিত করা হলেও তার মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।২০১৭ সালে বেইজিং এ একটি কৃত্রিম গোয়েন্দা ল্যাব চালু করে গুগল। এ বছরের মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড অভিযোগ করেছিলেন, ‘গুগল পরোক্ষভাবে চীনা সেনাবাহিনীকে সুবিধা দিচ্ছে।’ তার আগে এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, গুগল ‘চীনকে সহযোগিতা করছে’। ট্রাম্প তখন টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ‘গুগল যুক্তরাষ্ট্রকে নয়, চীনকে এবং তাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে। ভয়াবহ! ভালো খবর হলো, তারা কুটিল হিলারি ক্লিনটনকে সহযোগিতা করেছিল, ট্রাম্পকে নয়, আর তার পরিণতি কী হলো?’
আর ২৭ মার্চ গুগলের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকের পর পুরোপুরি উল্টে গেছে ট্রাম্পের অবস্থান। সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর টুইট করেছেন ট্রাম্প। তবে ভুল করে পিচাইকে সেখানে গুগলের ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘মাত্রই গুগলের প্রেসিডেন্ট সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে বৈঠক হলো। তিনি খুব ভালো কাজ করছেন। পিচাই দৃঢ়ভাবে বলেছেন, তিনি চীনা সেনাবাহিনীর প্রতি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রতি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজনৈতিক স্বচ্ছতা এবং আমাদের দেশের জন্য গুগল করতে পারে এমন আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে গুগল জানিয়েছে, কোম্পানিটি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’। ‘ভবিষ্যতে আমেরিকান কর্মশক্তি ও ক্রম প্রসারমান প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কাজের ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।’ বলেছে গুগল। তবে কতক্ষণ ধরে বৈঠক হয়েছে কিংবা আলোচনা সম্পর্কে ট্রাম্প যা বলেছেন তার সঙ্গে তারা একমত কিনা সে ব্যাপারে গুগলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হয়নি।