চিকিৎসার অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা!

35

ক্যাম্প থেকে নানা কৌশলে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। চেকপোস্টে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা আটক হলেও বেশির ভাগই চলে যেতে সক্ষম হচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্প থেকে চলে যাওয়ার সময় উখিয়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন আর্মি চেকপোস্টে আটক হন মা ও ছেলে। তারা চিকিৎসার কথা বলে ক্যাম্প ইনচার্জের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে সুস্থ দেখে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফে ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতনে তারা এদেশে পালিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে প্রতিদিন ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন তারা। স্থানীয় দালাল চক্রের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
রফিক মাহামুদ নামে এক এনজিওকর্মী জানান, তার গাড়িতে করে ২ জন রোহিঙ্গা চিকিৎসার কাগজপত্র নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। এ সময় আর্মি চেকপোস্টে তল্লাশির সময় তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আটক হন। দেখে মনে হয়েছে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু ক্যাম্প ইনচার্জের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে চিকিৎসার কথা বলে। তাদের কাগজপত্রে দেখা গেছে, তারা ২ জনই থাইংখালী শফিউল্লাহকাটা ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা এনাম হোসেন (২২) ও সৌমুদা বেগম (৬১)। সৌমুদাকে রোগী সাজিয়ে তারা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন।
থাইংখালী ১৬নং ক্যাম্পের ইনচার্জ শহিদুল্লাহ নিকট জানান, অনেকে অসুস্থতার কথা বলে লিখিত আবেদন করেন। সাধারণত তাদেরকে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এভাবে কেউ প্রতারণা করলে কিছু করার থাকে না। পরবর্তীতে সব খতিয়ে দেখে অনুমতি দেওয়া হবে।