চার দিন ধরে ‘অফলাইনে’ ইরান

23

চার দিনেও চালু হয়নি ইরানের ইন্টারনেট সংযোগ। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট সংযোগ। দেশটিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হয় ওই বিক্ষোভ। ইরানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের বিষয়টি এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে দেশটির আট কোটি মানুষ কার্যত অনলাইন যোগাযোগবিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন।
“আপনি যদি আপনার দেশের ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চাইলে নিজের ইচ্ছানুযায়ী ‘সেন্সর’ও করতে পারবেন।” বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ সারের সাইবার-নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবাসী এবং দেশের বাইরে থাকা ইরানিয়ানরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবার ও বন্ধুদের খবর পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে অলাভজনক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘নেটবøকস’ কর্মী অ্যালপ টোকার বলেছেন, “এটি পুরেপুরি অন্য মাত্রার। বিশ্বব্যাপী আমরা যা হতে দেখি, সেটির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।” টোকার উল্লেখ করেছেন, ইরানের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা একক কোনো নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল নয়। ফলে ইন্টারনেট বন্ধের কাজটি সহজ ছিল না। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট সংযোগ ‘ট্র্যাক’ করার দায়িত্ব পালন করে নেটবøকস। এ কাজটি করতে রাউটার, সার্ভার, মোবাইল ফোন টাওয়ারের মতো ‘যোগাযোগ ডিভাইসের’ ইন্টারনেট সংযোগ স্ক্যান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি এবং অনলাইনের আওতায় এসেছে এমন অঞ্চলের ‘ডেটাবেজ’ও রয়েছে অলাভজনক সংস্থাটির কাছে। নেটবøকস জানিয়েছে, শনিবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া পর দেশটির ইন্টারনেট ট্রাফিক স্বাভাবিক মাত্রা থেকে কমে পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে।