চার উপজেলার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ

27

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, মেঘনা ও বরুড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শ্রাবস্তী রায়। এসময় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা তাদের নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ও বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শপথ নেয়া চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা হলেন- কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তপন বক্সী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া আক্তার, মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিণ, বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএনএম মইনুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম আরো দৃশ্যমান করতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও সম্পৃক্ত করে সামাজিক মর্যাদা দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর যে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে জনগণের কিছু কর্তব্য ও অঙ্গিকার বাস্তবায়নের পালা শুরু হলো। স্থানীয় সরকার বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে উপজেলা পরিষদের প্রত্যেক চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণের ভোটে আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের দেয়া আমানত যাতে খেয়ানত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে সমন্বয় রেখে সরকারি সেবা জনগণের দোরগাড়ায় পৌঁছে দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনারা ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। আমরা সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের আন্তরিকতায় পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, দোহাজারি টু ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প, মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন ও বে-টার্মিনালসহ অসংখ্য প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। বাস্তবায়িত হয়েছে বড়-ছোট অনেক প্রকল্পের কাজ। বেড়েছে মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিক্ষার হার। বর্তমান সরকারের বিগত দশ বছরে প্রতিটি উন্নয়নসূচক দেশে এখন দৃশ্যমান। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনোধরনের অপরাধ ও দুর্নীতিতে জড়ানো যাবে না। শপথের যাতে বরখেলাপ না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।