চান্দগাঁও-মোহরাকে উপশহর করবো

23

 

চসিক নিবার্চনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চান্দগাঁও থানার মোহরা এখনও অবহেলিত। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াতসহ পর্যাপ্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে মোহরা এলাকাকে একটি আধুনিক উপশহরে পরিণত করবো। এখানে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করবো, যাতে এলাকার মানুষ চিকিৎসাসেবা পান। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউিটার ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলাসহ বৃহত্তর চান্দগাঁওয়ে সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেব।
তিনি গতকাল রবিবার ৫ নং মোহর এবং ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে গণসংযোগকালে এ কথা বলেন।
মোহরা ওয়ার্ডের কাপ্তাই রাস্তার মাথার পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে কামাল বাজার, মৌলভি বাজার, দীঘির পাড়, চেয়ারম্যান কলোনী, গোলাপের দোকান হয়ে কাপ্তাই রাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়। পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বলিরহাট বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করে খালাসি পুকুরপাড়, পাক্কা দোকান, সাবান ঘাটা, বাদামতল, চৌধুরী স্কুল, খরমপাড়া, শাহ ওয়ালিউল্লাহ আবাসিক, এক কিলোমিটার হয়ে রাহাত্তার পুল এলাকায় এসে শেষ হয়।
তিনি বলেন, বৃহত্তর চান্দগাঁও-মোহরার অন্যতম সমস্যা জলবদ্ধতা এবং সুপেয় পানির সংকট। কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী সংলগ্ন এসব নীচু এলাকা প্রায় সময় জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। এতে সৃষ্ট জলবদ্ধতায় জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নগরীর ভরাট হয়ে যাওয়া পুরানো খাল সংস্কার এবং নতুন খাল খননসহ আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিলে জলবদ্ধতা সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব। আমি নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন করে পর্যটন বান্ধব, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেব।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখনও সবার জন্য সমান হয়নি। গণসংযোগে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা। গতকাল আমাদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে, প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন সৎ, যোগ্য, ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে নগরবাসীর কাছে তিনি খুবই পরিচিত। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি। আপনারা তাকে বিজয় করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান লিটন, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহে নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, জানে আলম জিকু, ফিরোজ খান, ইদ্রিছ মিয়া, আব্দুল আজীজ, এসএম নুরুল আলম, আব্দুল্লাহ আল সগীর, জসিম উদ্দীন, ইলিয়াছ শেকু, জানে আলম, ম হামিদ, আবুল বশর, আফিল উদ্দীন আহমেদ, দিদারুল আলম হিরামন, কামাল উদ্দীন, নুরুল আলম লিটন, মাহাবুব আলম, গোলাপুর রহমান, সালামত আলী, গুলজার হোসেন, মো. এসকান্দর, আকতার হোসেন, মনছুর আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি