চান্দগাঁওয়ে চাঁদা না দেয়ায় বাড়ি ভাঙচুর

47

নগরীর চান্দগাঁও থানায় চাঁদা না পেয়ে এক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ নভেম্বর খাজা রোডস্থ হাবিলদার বাড়ির মরহুম শামছুল আলমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এ ঘটনা ঘটায় স্থানীয় জসিম আর বখতেয়ারের লোকজন। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় শামছুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম এবং ডা. শহিদুল আলমকে প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করেন হামলাকারীরা। এ নিয়ে চান্দগাঁও থানায় অভিযোগ ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রতিবেদককে এসব কথা জানান। মামলায় আসামিরা হলেন হাবিলাদার বাড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে জসিম ও মো. বখতেয়ার, মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর ও মো. ফেরদৌস।
সরেজমিনে মৃত শামছুল আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছাদসহ চার কক্ষ বিশিষ্ট ঘরটি ভাঙচুর করে আসবাবপত্রসহ যেসব মালামাল ছিলো সব নষ্ট করে দেয়া হয়। হামলার সময় স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করলেও তারা তা কর্ণপাত করেনি বরং উল্টো তাদের উপর হামলা করতে তেড়ে যায় বলে জানান বাড়ির লোকজন। তারা বলেন, ঘরটি ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো। চাঁদা না দেয়ায় ঘরটি ভেঙে দেয় জসিম, মো. আলমগীর, মো. ফেরদৌস ও বখতিয়ারের গ্রূপ। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। আর এতে আসবাবপত্রসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমার কাছে জসিম আর বখতিয়ারের একটি গ্রূপ এসে তাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাদেরকে কোন টাকা পয়সা দিবো না বললে গত ২৮ নভেম্বর আমার বাড়িতে হামলা চালায় তাদের সন্ত্রাসী গ্রূপ। এ বাড়িটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। যার সব দলিল এবং প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। হামলাকারীরা টাকা না পেয়ে অবৈধভাবে আমাদের এ জায়গাটা দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় ফেরদৌস এবং আলমগীর চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তারা বিভিন্ন জায়গায় ভূমি নিয়ে দালালি করে এবং কোন সমস্যা হলে ঘর বাড়িতে হামলা চালান।
হামলাকারী মো. আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন কিছু জানি না। ওয়াহিদুল আলম কোর্টে মামলা করেছেন। মামলায় যেভাবে বলা হবে আমরা সেভাবে করবো।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী টি কে মল্লিক বলেন, আদালতে আমরা সকল প্রমাণাদি পেশ করেছি। আদালত জায়গাটি দখলসূত্রে কার দেখার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) চান্দগাঁও এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্যে চান্দগাঁও থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। উনারা পরবর্তী রিপোর্ট জমা দিলে শুনানিতে ডাকবেন ম্যাজিস্ট্রেট। তারপরেই সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহি অনুপম বলেন, আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসলে আমরা বিষয়টি দেখে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে দিবো।